শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ ৪ঠা জানুয়ারি।
বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় একঝাঁক সূর্য বিজয়ী তারুণ্যের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের ৭৬ বছরের ইতিহাস, জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। কারণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৯৫৪’র সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুক্তফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত করে। ১৯৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে। ১৯৬৬’র ৬ দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে পড়ে।
৬ দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগ রক্ত দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বন্দি শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করে এনে ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজের পক্ষ হতে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে।
১৯৭০’র নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেন এবং ১৯৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে। ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার মাধ্যমে স্বাধীনতার বিজয় ছিনিয়ে আনে। বাঙালির এই মুক্তির সংগ্রামে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন দান করেছেন।