ছিনতাইকারীর হামলায় আইসিইউতে রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থী, গ্রেফতার এক আসামি

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


ছিনতাইকারীর হামলায় রিকশা থেকে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মাথার খুলি ফেটে গেছে। ওই ছাত্র রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে আহত শিক্ষার্থী এখনো অচেতন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আহত নাম নিশাদ আকরাম (২৪) নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

হামলার ঘটনায় তার চাচাতো ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ঘটনার দিনই মামলা করেন। এই মামলায় পুলিশ মো. সেলিম (৫০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায়। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

নিশাদের এক বান্ধবী জানান, তিনি ও নিশাদ তার এক অসুস্থ বান্ধবীকে হাসপাতালে রেখে রিকশায় করে আসছিলেন। তারা নগরীর রাজারহাতা এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় হামলাকারীরা এসে নিশাদকে আঘাত করে। নিশাদ রিকশা থেকে পড়ে যাওয়ার পর রিকশাওয়ালা ভয়ে আরও দ্রুত গতিতে রিকশা চলাচ্ছিলেন। এ জন্য তিনি নামতে পারছিলেন না।

অনেক দূরে যাওয়ার পরে তিনি চিৎকার করলে সকালে মসজিদে নামাজ পড়ে বের হওয়া লোকজন এগিয়ে এলে রিকশাওয়ালা রিকশা থামান। তারপর তিনি নিশাদের কাছে গিয়ে দেখেন তিনি অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। তাঁর মানি ব্যাগ, মোবাইল ফোন আর হাতঘড়ি নেই। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল সোমবার বিকেলে বলেন, ‘ভর্তির পর থেকে এখনো ওই রোগীর জ্ঞান ফেরেনি। তার মাথার হাড় ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।’ এই চিকিৎসক আরও বলেন, এখন পর্যন্ত তার অবস্থা ভালো বা খারাপ কোনোটাই বলা যাচ্ছে না।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে একজন আসামি ধরা হয়েছে। তার নামে সাত-আটটি মামলা আছে। সে পেশাদার ছিনতাইকারী। তাকে সোমবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ