নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা ছয়দিন ইদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে খুলেছে সরকারি- বেসরকারি অফিস আদালত, ব্যাংক, বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন শুরু করেছে মানুষ। শুধু ঢাকায় না রাজশাহীতেও ফিরে আসছেন অনেক চাকরিজীবী।
গেল কয়েকদিন রাজশাহীর রেলস্টেশন ও ঢাকা বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে যাত্রীদের আনাগোনা। সড়কের পাশাপাশি রেলপথে যাত্রীর দেখা মেলে স্টেশনে। রেলস্টেশনে ছিলো যাত্রীর চাপ। রাস্তায় জেম না থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাজধানীতে গেছে বাসগুলো।
তবে, বাড়তি ভাড়া ও ট্রেনের টিকিট নিয়ে যথারীতি আছে যাত্রীদের অভিযোগ। তারা জানান, ইদ বকশিশের কথা বলে বাড়তি টাকা আদায় করেছে বাসগুলো। আর ট্রেনের টিকিট অনলাইনে ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সোমবার বিকেলে ইদের ছুটি শেষ করে ঢাকা যাচ্ছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবদুল্লাহ আল ফিরোজ। তিনি বলেন, ছুটি শেষ হয়ে গেলেও একদিন বেশি ছুটি নিয়েছি। এছাড়া রোববার বেশি চাপ ছিল ঢাকা যাওয়ার। তখন যানজট ও ভোগান্তি হবে। তাই সবকিছু চিন্তা করে একদিন পরে যাচ্ছি।
শরিফুল ইসলাম নামের বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, যাত্রার ১০ দিন আগে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ছাড়লেও কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এ জন্য টিকিট নিতে পারেনি। তানোর থেকে এসেও বাসের টিকিট পাওয়া যায়নি। স্টেশনের গেটে বেশকিছু বাস আছে এগুলো বেশি ভাড়া চাচ্ছে। রাজশাহী থেকে ঢাকার ভাড়া ৭১০ টাকা কিন্তু তারা চাচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা।
সরকারি কর্মকর্তা শুভ কর্মকার বলেন, ইদের ছুটি বেশি থাকায় পরিবারের কাছে এসেছিলাম। আসার সময় কোনো যানজট ছিল না। যাওয়ার সময়ও সেভাবে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে পরিবহনের স্টাফরা। ছুটি কাটিয়ে ফিরে যাচ্ছি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে এসেছেন সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এবারের ইদে বেশিদিন ছুটি পাওয়া গেছে তাই পরিবারের সাথে বেশি সময় কাটানো হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টায় রওয়ানা দিয়ে ৯টায় এসে পৌছেছি।
একতা ট্রান্সপোর্টের বুকিং সহকারি গোলাম মর্তুজা সজিব বলেন, এবারের ইদে কোনো যানজট ছিল না। যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে এসেছি আবার ফিরেও যাচ্ছে। আমাদের যা ভাড়া তাই নেওয়া হচ্ছে। বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত আমাদের বাসের কোনো টিকিট নেই। সব আগে থেকেই বুক হয়ে গেছে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম বলেন, ঢাকার প্রতিটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বেশি। তবে কাউকে টিকিটবিহীন অবস্থায় প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ মাস পুরোটা চাপ থাকবে।