ছুটি শেষে যোগ না দিয়েও দুই নার্সের বেতন উত্তোলন বেতন কারা, কীভাবে তুললেন, তদন্ত হোক

আপডেট: জুলাই ৩, ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ওরা দু’জন ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে গেছেন। ছুটিও শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে। ছুটি বর্ধিতও করা হয়নি। তারা কর্মস্থলেও যোগ দেন নি। অথচ মাসের পর মাস বেতন তুলে নিয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব!
সোনার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিযুক্তরা হলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাইমা ইয়াসমিন ও জাকিয়া সুলতানা। প্রতিবেদনের তথ্যমতে সাইমা ইয়াসমিন অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ২০২২ সালে ৯ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনের ছুটি নেন। এরপর থেকে তিনি আর অফিসে আসেন নি। তার অবেদনে হাজিরা খাতার সিরিয়াল নম্বর দেয়া আছে ০২/১৭৩। সেই খাতায় দেখা গেছে, তিনি প্রতিদিনই অনুপস্থিত। সেখানে তার উপস্থিতির সই নেই। তবে প্রতি মাসের বেতন-ভাতা ঠিকই তুলেছেন তিনি। বেতন সিট ঘেঁটে দেখা গেছে, গত এক বছরে অনুপস্থিত থেকেও ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৬ টাকার বেতন তুলেছেন।
অন্যজন জাকিয়া সুলতানা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৫ দিনের অর্জিত ছুটি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে বিদেশে যান। এরপর থেকে তিনি আর অফিসে যোগ দেননি। অথচ তার যোগ দেয়ার কথা ছিল ৩০ অক্টোবর ২০২৩। গত আট মাস ধরে তিনি অনুপস্থিত। তবে এই আট মাসে ঠিকই তুলেছেন বেতন-ভাতা। আট মাসে বেতন তুলেছেন ২ লাখ ৮২ হাজার ২৭৬ টাকা।
নির্ধারিত ছুটি শেষ হওয়ার পরই তো স্বাভাবিকভাবে খোঁজ-খবরের বিষয়টি চলে আসে। এটা অফিসের ধারাবাহিক কাজেরই অংশ। সময়মতই কারণ দর্শানো নোটিশ জারির কথা। কিন্তু খুবই অবাক করার কথা যে, দাপ্তরিক ব্যবস্থা তো নেয়া হয়ই নি উপরন্তু অভিযুক্তরা মাসের পর মাস বেতন ঠিকই তুলে নিয়েছেন। বেতন কারা, কীভাবে তুললেন? এই প্রশ্ন থেকেই অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে বিদেশে থেকেও নিয়মিত বেতন ভাতা তুলে নেয়া সম্ভব হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখার দাবি রাখে। যে বা যারাই এই অসৎ কাজের সাথে জড়িয়ে আছে তাদের চিহ্নিত করে শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।