শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
শামীউল আলীম শাওন
এক শিল্পপতি পরিবারের এক মাত্র ছেলে সোয়েব। সোয়েবের সঙ্গে তার মা-বাবার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। তবে তারা ছেলেকে দেয় অঢেল টাকা। যাতে সে তার ইচ্ছেমত খরচ করতে পারে। সঙ্গীহীন এ ছেলেটি তার জীবনের সঙ্গী হিসেবে বেঁছে নিয়েছে ল্যাপটপ আর পদ্মা নদীর ধারকে। সে দিনের অধিকাংশ সময় কাটায় নদীর ধারে।
এদিকে প্রতিদিন একা একা ছেলেটি নদীর ধারে ঘুড়তে একসময় জঙ্গিদের নজরে পড়ে। জঙ্গিরা কৌশলে তার সঙ্গে মিশতে শুরু করে। সোয়েব জঙ্গিদের কাছে থেকে ভালো ব্যবহার ও সঙ্গ পাওয়ায় তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করে। এভাবে একপর্যায়ে তাদের আস্তানায় যায়। অন্য জঙ্গি সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হয়। জঙ্গিরা প্রোলোভনের মাধ্যমে সোয়েবকে তাদের দলে নিয়ে নেয় এভাবে এগোতে থাকে গল্প। এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে জঙ্গি বিরোধী স্বল্পদৈর্ঘ্য ”লচ্চিত্র ‘আলোর দেখা’। ঋতিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির ব্যানারে নির্মিত জঙ্গি বিরোধী এ চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন, মাহ্মুদ হোসেন মাসুদ। প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন, শাহারিয়া হোসেন শুভ এবং সহকারী পরিচালক ছিলেন, আলভী ও রাজীব। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহন করেছেন, শাহারিয়ার চয়ন।
ডা. এফএমএ জাহিদ প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, মনিরা রহমান মিঠি, অন্তর, জিহাদ খান, আশিক রাজ, শুভ, আলভী, রাজীব, মাইনুল, রশীদ, দীপু, শ্যামনী রায় ও নজরুল ইসলাম তোফাসহ প্রমূখ। এছাড়াও শিশুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, শিশুশিল্পী শান্ত। চলচ্চিত্রটির শেষ টাইটেল সঙ্গীতের কথা লিখেছেন, মাহ্মুদ হোসেন মাসুদ। চপল খানের সঙ্গীতায়োজনে এ গানটির সুর করেছেন ও কণ্ঠ দিয়েছেন, মোজ্জাম্মেল হোসেন।
চলচ্চিত্রটির পরিচালক মাহ্মুদ হোসেন মাসুদ সোনার দেশকে বলেন, রাজশাহী শহরের বিভিন্ন মনোরম পরিবেশে এ চলচ্চিত্রটির চিত্রায়ন করা হয়েছে। চিত্রায়ন শেষে চলচ্চিত্রটি বর্তমানে সম্পাদনার টেবিলে রয়েছে। ঋতিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ও রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী ফিল্ম ফেস্টেভ্যাল’ এ আগামী ১৮ অক্টোবর ‘আলোর দেখা’ স্বল্পদৈর্ঘ্য ”লচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে।