মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
সোসিয়্যাল ইনক্লুশন অব ইনডিজিনিয়াস পিপল ইন বাংলাদেশ শীর্ষক বার্ষিক সেমিনার-২০১৭ অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজান উদ্দিন বলেছেন, দেশের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রয়োজন। গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে সম্পৃক্ত করতে হবে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি হলে সংঘবদ্ধভাবে মোকাবেলা ও পরিকল্পিত পরিবর্তন অনয়নের পদক্ষেপ নিতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় বায়া আশ্রয় ট্রেনিং সেন্টার (এআরটিসি) রাজশাহীর কনফারেন্স হলরুমে ইন্সটিটিউট অব সোশিয়্যাল রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড এনথ্রোপোলজি (আইএসআরএএ) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগিতায় আয়োজিত বার্ষিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাবি উপাচার্য বলেন, পশ্চাদপদ, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। ইসরা ও রাবি এনথ্রোপোলজি বিভাগ মানুষের উন্নয়ন ও জীবনমানের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নৃবিজ্ঞান মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শুধু বাঙালি নয়, সকল শ্রেণির মানুষ সংবিধানিকভাবে সকল সুযোগ-সুবিধা সমানভাবে পাওয়ার অধিকার রাখে।
বার্ষিক সেমিনারের কনভেনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম খান, রাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী তোবারক হোসেন, মালোয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এএইচএম জিহাদুল করিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ফলিত নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন, রাবি নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আদিল হাসান চৌধুরী।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র, আইন ও সংবিধান মানুষের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করে। সম্প্রতি আদিবাসীদের নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা দুখজনক। রাষ্ট্রে মানুষের সামাজিক অর্ন্তভুক্তি কিভাবে হবে তা খুজে বের করতে হবে। বিভিন্ন এনজিও মাইক্রোকেডিট নিয়ে কাজ করে। নিজেরা বেনিফিটেড হয়। অথচ তৃণমুল মানুষেরা বঞ্চিত হয়। পুজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা বা রাজনৈতিক কারণে আমরা মানুষকে মানুষ বলে ভাবি না। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী হলে জনগণের উন্নয়ন দ্রুত করা সম্ভব হয়।
বক্তারা আরো বলেন, দেশের বিশেষ গৌষ্ঠীগুলোকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে উপেক্ষা করার প্রবণতা দেখা যায়। মাইক্রোকেডিট উদ্ভাবক মডেলকে খাটো করে না দেখে ব্যতিক্রম বিষয়গুলো দেখতে হবে। আশ্রয় যে মাইক্রোকেডিট মডেল করেছেন তা সবাই গ্রহণ করবে আশাকরি। এধরনের মডেল মালোয়েশিয়া করে থাকে। আদিবাসীসহ অন্যান্য গোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।