জনসভাকে ঘিরে নগরীতে বেড়েছে কেনাবেচা

আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ১১:৩৬ অপরাহ্ণ

রাবি প্রতিবেদক:


আওয়ামীলীগের জনসভাকে কেন্দ্র করে লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছে সিল্কসিটি খ্যাত রাজশাহীত নগরীতে। এতে রাজশাহী নগরীর ফার্স্টফুড ও খাবার দোকানগুলিতে ভিড় লক্ষ করা গেছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ফুটপাথের খাবার দোকানগুলো চুটিয়ে ব্যবসা করেছে। এছাড়াও নগরীর বিপনি-বিতানগুলোতে অভ্যাগত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে দোকানিদের বিশ্রাম নেয়ার ফুরসত ছিল না। রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে এই চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার সকালেই দূর দূরান্ত থেকে আগত নেতাকর্মীদের ঢল নামে পুরো নগরীজুড়ে। বাস, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি এবং অটোরিকশা থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটেও নেতাকর্মীদের আসতে দেখা যায়।

সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে আসা জনতা রাজশাহীতে পৌঁছেই খাবার দোকানে জড়ো হচ্ছেন। অনেকটা কসরত করে তাদের খাবার খেতে হচ্ছে। এছাড়াও সমাবেশে আসা জনতা সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে দেখা গেছে। সেখানকারও ফার্স্টফুড দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে।

জনসভা শুরুর আগে নগরীর ভিন্ন পয়েন্টে, পদ্মা গার্ডেনেও হাজারও মানুষের সমাগম লক্ষ করা গেছে। পদ্মাগার্ডেনে মা-মনি চটপটি হাউজে দেখা যায় শত মানুষের ভীড়। দোকান মালিক হৃদয় হাসিমুখে জানান, সাধারণত এমন বেচাকেনা হয়না। আজ মানুষ জনসভায় এসে পদ্মাগার্ডেনে ঘুরতে এসেছেন। এতে আজ বেচাকেনা বেশি হচ্ছে।

নগরীর রেলগেট, ভদ্রা, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, সিএন্ডবি মোড়, মুক্তমঞ্চ ও মাদরাসা মাঠ সংলগ্ন এলাকার খাবার দোকানগুলোর একই চিত্র দেখা যায়। জনতার উপচে পড়া ভীড়। সিএন্ডবি মোড় এবং রেলগেটের দু’জন হোটেল ব্যবসায়ী জানান, সমাবেশকে ঘিরে আমাদের পূর্ব প্রস্তুিত ছিলো। আমরা সকাল থেকে বেচাকেনা শুরু করেছি। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ কয়েকগুণ বেশি চাপ ছিলো। আমরা ক্রেতাদের মানসম্মত খাবার প্রদানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১: ১৭ মিনিটে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে অবতরণ করেন। শিক্ষানবিস পুলিশ সুপারদের অনুষ্ঠান শেষে তিনি রাজশাহী মহানগরীতে আসেন। দুপুর ২টায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুরো নগরীতে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন।