মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভা শেষ ট্রেনের ছাদে বাড়ি ফিরছে মানুষ। বিশেষ ট্রেনগুলো রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ছাড়া আগেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে ট্রেনগুলো। ফলে ট্রেনগুলো বড়ি ঝাঁপিয়ে মানুষকে ট্রেনের ছাদে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। তবে যারা ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠছেন তাদের রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা নামিয়ে দিচ্ছেন। এসব ট্রেনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে আসা জনগণ ছিলেন।
রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে স্পেশাল ট্রেনগুলোতে যাত্রীতে ঠাসা অবস্থায় দেখো গেছে। এসময় বনলতা, ঢালারচর, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীতে ঠাসা। স্টেশনের প্লাটফর্মে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি। ট্রেনে বগিগুলো ছিলো জনসভা থেকে ফেরা মানুষে ভর্তি। কম ছিলো না ট্রেনের চাদেও। রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া স্পেশাল ট্রেনের ছাদে উঠে শত শত মানুষ বাড়ি ফিরেছেন।
তবে জনসভা শেষে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে উঠে কয়েকজন যাত্রী জানায়, জনসভায় অনেক মানুষ আসতে পারেনি। ভেতরে জায়গা না হওয়ায় আনেকেই আসেনি। তাদের মধ্যে অনেকেই ছাদে এসেছেন। তবে ফেরার বেলাতেও শীত উপক্ষো করে ট্রেনে ছাদে উঠেছেন শত শত মানুষ। তাদের মধ্যে কেই কেউ বলছন, সকালে ট্রেনে জায়গা না হওয়ায় অনেকেই বাসে এসেছেন। জনসভা শেষ তারা বাসে না গিয়ে ট্রেনে উঠেছেন। ফলে জায়গার সঙ্কট দেখা গিয়েছে।
নাটোর থেকে রাজশাহীর জনসভায় আসা আবদুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা বলে কথা। না আসলে হয়। প্রধানমন্ত্রীকে এক পলক দেখতে নাটোর থেকে আমরা রাজশাহীতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনেছি। এখন বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি।
সুমন ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, ট্রেনে জায়গা হচ্ছে না। কারণ; অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বাসে এসেছিলেন। কিন্তু ট্রেনে বাড়ি ফিরবেন। এমন মানুষ অনেক ট্রেনে উঠেছেন। যাদিও নাটোর থেকে ছাড়ার সময়ই ট্রেনের বগিগুলো ভোরে গিয়েছিল। তার পরে এখন আবার নতুন করে আসে যাত্রীরা উঠেছে। কিন্তু বলার নেই। কষ্ট করে হলেও বাড়িতে ফিরতে হবে।
পাবনা থেকে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় এসেছেন সালমা ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি কাছে থেকে দেখেছি। আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। বাড়ি ফিরে অনন্ত বলতে পারবো সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি।
অন্যদিকে, কেউ প্রধানমন্ত্রীকে দেখে খুশি হয়েছেন। কারও বা না দেখার আক্ষেপ থেকে গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে সাইফুল ইসলামেরা। তারা বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে উঠেছেন। তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীকে এক পলক দেখার জন্য রাজশাহীতে এসেছিলাম। কিন্তু দেখা পেলাম না। দেখতে পেতাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে আসলেন তখন সবাই দাঁড়িয়ে গিয়ে ছিল। অনেক দূরে থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পাইনি।
রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ট্রেনগুলো সময় মতো ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া অনেকই ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠেছেন। তাদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারণ ট্রেনে চালক ঠিক মতো দেখতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই জনসভায় আসার জন্য সাতটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। ট্রেনগুলো রাজশাহী-নাটোর, রাজশাহী-জয়পুরহাট, রাজশাহী-সান্তাহার, রাজশাহী-ঢালারচর ও রাজশাহী-সিরাজগঞ্জ রুটে চলে।