বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিকসহ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে অবস্থিত জমজম ইসলামী হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।
কাকলী আক্তার সাথী নামে এক ভুক্তভোগি রোগি বাদি হয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজশাহীর মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ডা. এ.কে.এম গোলাম কিবরিয়া ডন, ডা. জয়নাল আবেদিন, ডা. আবদুল লতিফ এবং বেসরকারি ওই হাসপাতালটির পরিচালক মাইনুল ইসলাম।
জেলার পবা উপজেলার টেংরামারি গ্রামের মিলন আলীর স্ত্রী কাকলী আক্তার সাথী তার মামলার এজাহারে বলেছেন, গত ১৭ মে পেটের ব্যথায় জমজম হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে তাকে জানানো হয় তার অগ্নাশয়ে টিউমার জাতীয় পুরু একটি খণ্ড রয়েছে।
এরপর আসামিরা অস্ত্রোপচারের নামে তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ৭০ হাজার টাকায় অস্ত্রোপচার করেন। এরপর ২৬ মে সব টাকা পরিশোধ করা হলে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এ ঘটনার দুই মাস পর ১৭ জুলাই বাদী পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তিনি আবার পেটের আল্ট্রাসনো করেন। এর রিপোর্ট তিনি রামেক হাসপাতালের সহকারী অধ্যপাক এস.এম আহসান শহিদ ও ডা. শরীফা বেগমকে দেখান।
পরে কাকলী আক্তার সাথী জানতে পারেন, তার পূর্বের মোটা টিউমারটি এখনো সেই অবস্থাতেই আছে। চলতি মাসের ৯ তারিখে মামলার সাক্ষী ডাক্তারসহ অভিযুক্ত ডাক্তারদের বিষয়টি জানালে তাদের কিছুই করার নেই বলে ধমক দিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে তিনি হাসপাতালের মালিক এবং তিন চিকিৎসককে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, গতকাল রাত পর্যন্ত আদালত থেকে মামলার কাগজপত্র তার কাছে যায়নি। কাগজপত্র পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।