বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি :
সাবেরা বেগম (২৭) নাটোর শহরের একটি বিউটি পার্লার কর্মী। তিনি জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী রেজাউল করিমের স্ত্রী। সাহেরা বেগম অর্থ আর স্বার্থ হাসিল করতে একের পর এক শ্লীলতাহানি, কুপ্রস্তাব এবং উত্যাক্ত করার ভিত্তিহীন অভিযোগ করে নিরিহ মানুষকে ফাঁসাচ্ছেন। তার হাত থেকে আপন মামা শ^শুরও রক্ষা পান নাই। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সাবেরা বেগমের র্টাগেটে পরেছেন ইউনুস আলী নামে এক মাদরাসা শিক্ষক।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, সাবেরা বেগম ইতিমধ্যে মামা শ^শুর আব্দুল জলিলের নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এরপর সোহাগ হোসেন নামে এক যুবকের নামে একই অভিযোগ করেন। এছাড়াও নাটোর শহরে আব্দুল আলীমকে স্বামী পরিচয়ে বাসা ভারা করে বসবাস করছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, সাবেরা নানা ভাবে টাকা ধার নেন। সেই টাকা ফেরৎ চাইলে হুমকি দেন। তবু চাপদিলে পরবর্তীতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করে ফাঁসিয়ে দেন। আর যারা চেপে যান তারা মামলা থেকে রক্ষা পান।
বৃহস্পতিবার বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় একটি রেস্তরায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ইউনুস আলী। তিনি লিখিত বক্তৃতায় জানান, ২০২২ সালে প্রতিবেশী সাবেরা বেগেমের স্বামী রেজাউল করিমের নিকট থেকে ৪ শতাংশ জমি কিনেন।
রেজাউল করিম ওই জমি বিক্রি করে সেই টাকায় সৌদিআরব যান। তার স্ত্রী সাবেরা বেগমকে জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেন। কিন্তু সাবেরা বেগম জমির দখল ছাড়তে তালবাহানা শুরু করেন। গত সপ্তহে জমি ছাড়তে চাপ দিলে গত রোববার ইউনুস আলীর নামে একই কায়দায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন বড়াইগ্রাম থানায়।
ইউনুস আলী উপজেলার গাড়ফা দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার। এসময় ইউনুস আলীর ভাগ্নে সাইদুল ইসলাম, ছোটভাই আব্দুল আলীম উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তোর দেন।
এ বিষয়ে সাবেরা বেগম বলেন, ইউনুস আলী আমাকে নানা ভাবে কু-প্রস্তাব দিত তার প্রমান আমার কাছে আছে। এছাড়াও নাটোর শহরে একা দেখা করার জন্য আমায় প্রস্তাব দেয়।
নগর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন মোস্তফা শামসুজ্জোহা বলেন, ইউনুস আলী মাদরাসা শিক্ষক। তার নামে এ ধরনের অভিযোগ করা ঠিক হয় নাই।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল আযম খান বলেন, ইউনুস আলী নামে একজনের নামে সাহেরা বেগম লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।**