শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীতে মিশনারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আওয়ার লেডি অফ দি মিশনের সম্পত্তি ক্রয়ে জালিয়াতি নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ তার প্রতিবাদ করেছেন আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, জমি কেনাবেচার স্বাক্ষী হওয়ার কারণে আমাকে জড়ানো হয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, যোগসাজসী ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। জমির জালিয়াতি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, মিশনারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আওয়ার লেডি অফ দি মিশনের সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য সম্পত্তির দলিল, খারিজ, খাজনার কাগজ সঠিক আছে কিনা আমি যাচাই করি। ডিঙ্গাডোবা ক্যাথলিক মিশনের ফাদার লিটন কস্তাকে সরবরাহ করি। এরপর তারা দলিল লেখক এসএম আয়নাল হককে জেলা প্রশাসকের থেকে অনুমতির নেওয়ার জন্য বলেন। তিনি পাঁচ লাখ টাকা চুক্তিতে তিনি অনুমতিপত্র এনে দেন। এর আয়নাল আওয়ার লেডি অফ দি মিশন (আরএনডিএম) পক্ষে সিস্টার পূরবী চিরানের নামে একটি কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করে দেন।
সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয়ের মিডিয়া আক্কাস আলী নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন এডিসি রেভিনিউ কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমতিপত্রটি জাল। আমি অভিযোগ সম্পর্কে জানার পরে দলিল লেখক এসএম আয়নাল হক আমাকে মোবাইল ফোনে জানান ‘তিনি দলিল দাতা আলমগীর কবীরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হাফিজ নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করেন।’ যার অডিও রেকর্ডিং আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।
জালিয়াতির বিষয়ে অবগত হওয়ার পরে আমি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিগত গত নভেম্বরের ২৯ তারিখে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করি। যা এখনও তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। আমি অনুমতিপত্রের জালিয়াতির বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি জালিয়াতির বিষয়ে কোন ভাবেই জড়িত না এবং আমি সম্পূর্ণ ভাবে নির্দোষ। আমার বিরুদ্ধে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকে না জেনে শুনে যে প্রতিবেদন করেছে তার নিন্দা জানাচ্ছি। জালিয়াতির ঘটনায় আমি গত রোববার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত ভাবে আমার জবানবন্দী ও অডিও রেকর্ডিং প্রদান করেছি।
এ বিষয়ে দলিল লেখক এসএম আয়নাল হক বলেন, দলিলের সকল কাজ আইনজীবী নিজেই করেছেন। আমি শুধু দলিল লিখে দিয়েছি। এ নিয়ে তদন্তও হচ্ছে। আমি আমার লিখিত বক্তব্য দিয়ে এসেছি। রিপোর্ট হলে সকল কিছু জানা যাবে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফাদার লিটন কস্তাকে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।