শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
পাবনার ঈশ্বরদী শহরের পৌরপাড়ার বাসিন্দা হতদরিদ্র গৃহকর্মী নাছিমা খাতুন বাঁচতে চান। জরায়ুতে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ধুঁকছেন তিনি। অর্থের অভাবে কেমোথেরাপী করাতে না পেরে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার জীবন। নাছিমা খাতুন নিজে অন্যের বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। ঘরে স্বামী সাইফুল ইসলাম স্ট্রোক আক্রান্ত হয়ে বিছানাগত।
একমাত্র ছেলে শান্ত ইসলাম শারিরিক প্রতিবন্ধী। সে আগে রিকশা চালাতো। এখন শারিরিক অক্ষমতার দরুন রিকশা চালাতে পারেন না। আশেপাশের ডোবা নালা থেকে কচুরিপানা তুলে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শহরের পৌরসভা পাড়ায় ভাড়া করা একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন।
সে ঘরেও বৃষ্টির পানি পড়ে। পরিবারের এই অসহায় অবস্থায় নাছিমা খাতুন নিজের জরায়ুর ক্যান্সার নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. নুরুল ইসলামের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে ঠেঙ্গামারা বগুড়ায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রাফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালের ‘টিএমএসএস ক্যান্সার সেন্টার’ এর অধ্যাপক ডা. মো. আদনান আরেফিনের তত্বাবধানেও চিকিৎসা নিয়ে গ্রহন করেছেন নাছিমা খাতুন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন নাছিমার জরায়ুর ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব।
তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসা সম্পন্ন করতে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে। টাকার যোগাড় করা গেলে নাছিমার ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। হতদরিদ্র নাছিমা খাতুন অসুস্থ থাকার কারনে এখন বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজও বন্ধ তার। চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া কিংবা প্রতি সপ্তাহে কেমোথেরাপীর খরচ যোগানোর কোন উপায় নেই।
অর্থাভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ। এই অবস্থায় সমাজের বিত্তবানদের নিকট থেকে সাহায্যের আশায় তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তারে জন্য সাহায্য পাঠাতে ছেলে শান্ত’র ০১৯২৭৭৮৬৩২২ নম্বর মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে সাহায্য পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।