জাতীয় নির্বাচন : জঙ্গিরা তৎপর! সতর্ক পদক্ষেপ এখন থেকেই

আপডেট: জুন ৮, ২০২৩, ১:১৪ পূর্বাহ্ণ

দেশে জঙ্গিদের তৎপরতা নিয়ে জনমনের উদ্বেগ অনেকটাই কমে এসেছে। আইন-শৃঙাখলা বাহিনিও সেটাই ধারণা করে কিন্তু জঙ্গিরা নিষ্ক্রিয় কিংবা নিঃশ্বেষ হয়ে যায়নিÑ এ কথা তারাও মানছেন। অর্থাৎ জঙ্গিদের নিরব তৎপরতা ঠিকই আছে। এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে, জঙ্গিরা শক্তি অর্জন ও সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সময় সুযোগ বুঝে তারা যে কোনো ধরনের আঘাত হানতে পারে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জঙ্গিদের সক্রিয় থাকার তথ্য জানা গেছে। জঙ্গিরা সংগঠনের নিত্য-নতুন নাম ব্যবহার করে মাঠে সংঘটিত হওয়ার জন্য তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় র‌্যাবের চেকপোস্টে তল্লাশি চালিয়ে তিন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বাকি সদস্যরা পালিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী লিফলেট উদ্ধার করা হয়। নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বিয়া’র এই জঙ্গি সদস্যরা আত্মগোপনে যাচ্ছিল। সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫ জুন রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তারা গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়া এই জঙ্গি সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধের জন্য সংগঠিত হচ্ছিল। ৬ জুন রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
দেশের রাজনীেিত এক ধরনের অস্থিরতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সরকার বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে উঠেছে। একই সাথে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কূটনীতিকদের নানা বক্তব্য জনমনে অনেক প্রশ্নের জন্মও দিচ্ছে। সবকিছু মিলেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জাতীয় রাজনীতি ক্রমশই সরগরম হয়ে উঠছে। একই সাথে সাধারণ্যে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি অশুভ অপশক্তির উত্থানের জন্য বেশ উপযোগী। রাজনীতির দুর্বলতার মধ্যেই জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা মাঠের পরিস্থিতিকে দ্রুত অস্থির করে তুলতে পারে। এ ব্যাপারে একটা স্বস্তির জায়গা আছে যে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি জঙ্গিদের ব্যাপারে তৎপর প্রস্তুতি বহাল রেখেছে। তাদের সাফল্য উল্লেখ করার মত। যে কারণেই জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যখনই মাথাচাড়া দিয়েছে তখনই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি তাদের দমন করতে সফল হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে এই অশুভ শক্তির তৎপরতায় আশংকা করাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। উদ্বেগটা এই কারণেই যে. দেশবাসীর সে অভিজ্ঞতা আছে- াবগত সময়ে গণতান্ত্রিক লেবাসে কতিপয় রাজনৈতিক সংগঠনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে জঙ্গিরা কীভাবে ভয়াবহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে পেরেছিল। এ ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি এখন থেকেই বিবেচনায় নিতে হবে।