‘জামায়াতপন্থি মুয়াজ্জিন মসজিদে আজান দিতে ও ইমাম নামাজ পড়াতে পারবে না’ বিএনপি নেতা হাবিবের এমন বক্তব্যে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ায় তোলপাড়

আপডেট: মে ১৮, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:


পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় ‘জামায়াতপন্থি কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না এবং জামায়াতে ইসলামীর কোনো ইমাম মসজিদে নামাজ পড়াতে পারবে না’- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের এই বক্তব্যে ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া (পাবনা-৪) নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। আটঘরিয়ায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। শনিবার (১৭ মে) রাতে হাবিবুর রহমান হাবিবের এই বক্তব্য ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে তিনি বলেন, দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তো নেবেই। তার সঙ্গে আমার কোন দ্বিমত নেই। কিন্তু আমি আজ বলবো, আটঘরিয়ার কোনো মসজিদে জামায়াতের কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতে ইসলামীর কোনো ইমাম মসজিদে ইমামতিও করতে পারবে না। গত শুক্রবার আটঘরিয়ারি দেবোত্তর বাজার জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ মসজিদে পড়তে পারেনি মানুষ। তালা দিয়ে পালিয়েছে। কতটা ন্যক্কারজনক ঘটনা।’

হাবিব বলেন, তারা মিথ্যা কথা বলে। এদের পেছনে নামাজ হয় না। এরা স্বাধীনতা বিরোধী রগ কাটা গ্রুপ। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। পাকিস্তানের দোসর ছিল। তাই আটঘরিয়াবাসীকে আহবান জানাবো জামায়াতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

জামায়াতের অফিসে কুরআন ও হাদিস পোড়ানোর বিষয়ে হাবিব বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা কুরআন শরীফ পোড়ায়নি। জামায়াতের লোকজন নিজেরাই কুরআন পুড়িয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কুরআন পোড়াতে পারে না এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি।

এসব বিষয়ে পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল রোববার মুঠোফোনে বলেন, কোন সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। জামায়াতে ইসলামীর ইমাম মুয়াজ্জিনদের নিয়ে উনার (হাবিবের) বক্তব্য ফেসবুকে যেমন ভাইরাল হয়েছে তেমনি মানুষ তার বক্তব্যের প্রতিবাদে নেতিবাচক অনেক মন্তব্য করেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।

প্রসঙ্গত : বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় আটঘরিয়ার দেবোত্তর বাজার এলাকায় দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়। এর জেরে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা কর্মীরা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন আলমের কার্যালয়ে ভাংচুর চালায় জামায়াতের কর্মীরা।

এ ঘটনায় পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলসহ জামায়াতের নেতারা বিএনপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে তার ওই বক্তব্য দিলে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।#

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ