জুমাতুল বিদায় আল্লাহর রহমত চাইলেন মুসল্লিরা

আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে পবিত্র জুমাতুল বিদা। মহাত্ম্য ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনে জুমার নামাজের পরে মসজিদে মসজিদে দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া- মোনাজাত করেন মুসল্লিরা। মূলত, রমজান মাসের শেষ জুমার মাধ্যমে (জুমাতুল বিদা) কার্যত বিদায় জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) জুমাতুল বিদাকে কেন্দ্র করে মসজিদগুলোতে ঢল নামে মুসল্লিদের। উপচে পড়া ভিড়ের কারণে অনেকেই আজানের আগেই মসজিদে গিয়েছেন। এমনকি মসজিদে জায়গা না পেয়ে বাইরের সড়ক পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি ছড়িয়ে পড়ে। নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। রাজশাহীর বিভিন্ন মসজিদে জুমাতুল বিদা উপলক্ষ্যে নামাজের পরে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, রমজান মাসের শেষ জুমা ছিল। রহমতের মাসের এই শেষ জুমার অনেক ফিজল রয়েছে। এই জুমা আসবে একবছর পরে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে জুমাতুল বিদা পালিত হয়েছে। এদিন তুলনামূলক মসজিদে বেশি মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহ থেকে ক্ষমা চেয়ে অনেক মুসল্লি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নগরীর বুধপাড়া বাইতুল মাওলা জামে মসজিদের ইমাম মো. ইমরান হোসেন বলেন, নামাজ পূর্ব বয়ানে মসজিদগুলোর ইমামগণ পবিত্র মাহে রমজান, শবে কদর, জুমাতুল বিদার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় জাকাত ও ফিতরা আদায়ের বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও এর প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উপস্থিত মুসল্লিদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় মসজিদহগুলোতে। নামাজ শেষে খতিব দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এসময় মুসল্লিদের আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে যায় পুরো মসজিদ। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক মুসল্লি।

প্রসঙ্গত, রমজান মাসের শেষ জুমার দিন মুসলিম বিশ্বে ‘জুমাতুল বিদা’ হিসেবে পালন করা হয়েছে। প্রতিবারের মতও এবারো বাংলাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য-দিয়ে এই বিশেষ দিন পালিত হল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ