মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
হত্যাচেষ্টা মামলায় ‘ভুলবশত’ আসামি করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পান্নার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন বাদী মো. বাকের। সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এই আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউস হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, ‘ভুলবশত’ আসামির তালিকায় জেড আই খান পান্নার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলা থেকে তাকে বাদ দিয়ে মামলাটি তদন্ত করার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে।
এর আগে গতকাল রবিবার ছড়িয়ে পড়ে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে আদালতে যাওয়া সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে গত ১৭ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। আজ হাইকোর্ট তাকে এই মামলায় অন্তর্র্বতীকালীন জামিনও দিয়েছেন। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ ইনায়েত হোসাইনের বেঞ্চ তাকে আগাম জামিন দেন।
এদিকে সোমবার সকালে মামলার বাদী মোহাম্মদ বাকের থানায় লিখিত নিয়ে এসে আবেদনপত্রটি জমা দেন। পরবর্তী প্রক্রিয়া কী হবে জানতে চাইলে থানার ওসি বলেন, ‘আমরা আবেদনটি নথিভুক্ত করেছি। আদালতে উত্থাপন করা হবে। তদন্ত করে নাম বাদ যাবে।’
বাদীর সঙ্গে থানা থেকে যোগাযোগ করার পরে আবেদন নিয়ে এসেছে কিনা প্রশ্নে ওসি দাউদ বলেন, ‘না উনি নিজ উদ্যোগে এসেছেন এবং লিখে নিয়ে এসেছেন।’
গত ১৯ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আহাদুল ইসলাম নামের একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করা হয় আইনজীবী পান্নার বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রায় তিন মাস পর, ১৭ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় মামলাটি করেন আহাদুলের বাবা মো. বাকের। এই মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামি মোট ১৮০ জন। ৯৪ নম্বর নামটি জেড আই খান পান্নার।
ঘটনা প্রকাশ পেলে চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মামলার বিষয়ে জেড আই খান পান্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, ‘১৮০ জন আসামির মধ্য ৯৪ নম্বর আসামি হতে আপত্তি আছে আমার। মামলা যখন দেবেনেই, আমাকে এক নম্বর আসামি করে দেন। এটা কোনও না কোনও প্রভাবশালীর ইন্ধনেই হয়েছে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ নেই।’
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন