জেলা ভোট: এমপিদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ

আপডেট: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬, ১১:৫১ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


জেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘কিছু’ স্থানীয় সাংসদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ এসেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ওই সাংসদদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার শেরেবাংলানগরে ইসি কার্যালয়ে শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, “কিছু প্রার্থী ও সরকারদলীয় সাংসদ নানাভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ ধরনের কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।”
বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত কেন্দ্রে এ নির্বচানের ভোটগ্রহণ চলবে দেশের ৬১ জেলায়। দেশে প্রথমবারের মতো এ নির্বাচনে স্থানীয় সরকারের সিটি, পৌর, উপজেলা ও ইউপি জনপ্রতিনিধিরাই কেবল ভোট দেবেন।
এ নির্বাচন ঘিরে অনেক এলাকায় সরকারদলীয় সাংসদ ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে আসছে বেশ কিছুদিন ধরেই। প্রার্থীরা ভোট কেনা-বেচার চেষ্টায় বিভিন্ন কৌশল ব্যবহারে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পেয়েছে ইসি।
শাহনেওয়াজ বলেন, প্রার্থীরা কেউ কেউ ভোটারদের বলছেন ক্যামেরায় ছবি তুলে আনতে, কেউ বলছেন ব্যালট পেপারের পেছনে বিশেষ চিহ্ন দিতে।
“ভোটের আর দুদিন রয়েছে। সাংসদদের কাছে অনুরোধ করছি- আপনার এলাকা থেকে চলে আসেন। আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে কেউ প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে যেই হোন না কেন- অনিয়ম করলে ছাড় দেয়া হবে না।”
ভোটকেন্দ্রে যাতে কোনো অনিয়ম না হয়, সেজন্য প্রতিটি ভোটকক্ষের সামনে একজন করে নির্বাহী হাকিম রাখা হবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, “কোনো ভোটার বা জনপ্রতিনিধি ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভোটারকে তল্লাশি করে তা নিশ্চিত করবেন। ব্যালট পেপারের কোথাও পরিচিতিমূলক চিহ্ন ব্যবহার করলে তা বাতিল করা হবে।”
ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসক রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এ নির্বাচনে প্রতিটি জেলায় একজন করে চেয়ারম্যান এবং ১৫ জন ওয়ার্ড সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের পাঁচজন সদস্য নির্বাচিত হবেন। ৬৩ হাজারের বেশি ভোটারের এ নির্বাচনে জেলা ও উপজেলায় ওয়ার্ডভিত্তিক ৯১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।
চেয়ারম্যান পদে ইতোমধ্যে ২১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কুষ্টিয়ায়  চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর আদালতের আদেশে তা স্থগিত করা হয়।
নির্দলীয় এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে অনেক জেলায়। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এ নির্বাচন বর্জন করেছে।- বিডিনিউজ