শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের প্রাথমিক দুই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখ এবং পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবিবি ঢাকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমানউল্লাহর বিরুদ্ধে তিন ভুক্তভোগী নারীর পরিবার সোমবার বেলা ১২ টায় জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী ওই তিন নারী হলেন, আক্কেলপুর উপজেলার কাশিড়া লক্ষ্মীভাটা গ্রামের মাহবুব আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম, এরশাদুল হকের স্ত্রী শারমিন আক্তার ও জয়পুরহাট সদরের জয়পার্বতীপুর দক্ষিণ কান্দি গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের মেয়ে নুরুননাহার।
এদের পক্ষে শারমিন আক্তার লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। অভিযোগে বলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কর্মরত সহকারী প্রাথমিক শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখ ও পাঁচবিবিতে কর্মরত সহকারী শিক্ষক আমানউল্লাহ ২০১৭ সালে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভন দিয়ে প্রত্যেকের কাছে ৬ লক্ষ টাকা চায়। অগ্রিম বাবদ প্রতারণামূলক ব্যাংকের চেক দিয়ে সাড়ে ৫ লক্ষ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে ওয়াদুদ ফাররোখ শারমিনের নিকট হতে দেড় লক্ষ ও নুরুননাহারের নিকট থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছেন এবং আমানউল্লাহ আলেয়া বেগমের কাছে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এরপর আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান কলেজের পেছনে একটি শিশু কল্যাণ স্কুলও চালু করে দেয়। দেড় বছর স্কুল চলাকালীন প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা ভাড়া ভুক্তভোগীরা দিয়েছে। চাকরি দিব-দিচ্ছি বলে তালবাহানা করে এবং তাদের অর্থ না দিয়ে নানা রকম হুমকি দেয়। তারা ৩১ মে ২০২১ জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। এতে কোনো প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ ব্যাপারে ওয়াদুদ ফাররোখ (০১৭১২ ৩১২০৪৩) ও আমানউল্লাহ (০১৭১৬ ২৯৮১৩৬) এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সে অনেক কথা একদিন আসেন, সব বলব। মোবাইলে এত কথা বলে বুঝানো সম্ভব না।