শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:বাঘায় টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাখি খাতুনের। দুই মাস থেকে নানীর বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছে সে। তাকে নিয়ে বৃদ্ধ নানা-নানী নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। রাখি উপজেলার দিঘা নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বাউসা ইউনিয়নের দিঘা হিন্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, চার মাস আগে বাড়ির পাশে আম গাছ থেকে পড়ে মাথায় ও মাজায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ওই সময় প্রাথমিক চিকিৎসার থেকে ভাল ছিল। কিন্তু দুই মাস থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়। বর্তমানে রাখি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক মাহাবুল আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে নানী বুলবুলী বেগম বলেন, রাখির বয়স যখন ১ মাস, তখন মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে । এরপর থেকে মা রেখা বেগম তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নেন আমার বাড়িতে। এখানে বেড়ে উঠে রাখি। ৫ মাস আগে শ্রমিকের ভিসায় গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরবে গিয়েছেন রেখা বেগম। বর্তমানে রাখি হাত-পা নড়াতে পারছে না, পাশে ঘুরে বসার মত শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। মায়ের পাঠানো সামান্য টাকায় রাখি খাতুনের চিকিৎসায় অপ্রতুল। তবে তার শিক্ষকরা সাহায্য সহযোগিতায় কোনো রকমে চিকিৎসা চলছে। তার চিকিৎসায় প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। ভ্যান চালক নানা কাউসার আলীর পক্ষে চিকিৎসা করানো তো দূরের কথা, তার আয়ে সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে রাখির নানা কাউসার আলী বলেন, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বের আমার ছোট ভাই খাকচার আলীকে দিন-দুপুরে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ভাইকে মর্গে থেকে এনে ১৯ সেপ্টেম্বের দাফন করা হয়। ওই দিন নাতী রাখি সন্ধ্যার পর টিউবয়েলে পানি আনতে গিয়ে ভয়ে পড়ে যায়। এরপর থেকে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা করেও ভাল হচ্ছে না।
এ বিষয়ে দিঘা নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজান আলী বলেন, দরিদ্র পরিবারের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা। কোনো হৃদয়বান ব্যক্তির আর্থিক সাহায্য পেলে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে স্কুলের সহপাঠীদের কাছে আবার ফিরতে পারতো রাখি। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা। নানা কাউসার আলী নগদ নম্বর ০১৭৪৯-২৪৬৪৮৮ (ব্যক্তিগত)।