মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
টাকার লোভে স্বামীকে খুন। খুনের পর ৮০০ কিমি দূরে স্বামীর দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে স্ত্রী। গোটা ঘটনায় তাকে সাহায্য করেছে দুই প্রেমিক। প্রায় একমাস পর খুনের রহস্য ফাঁস হল পুলিশের কাছে। গ্রেপ্তার করা হল তরুণী ও তার দুই প্রেমিককে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, ৮ অক্টোবর কর্ণাটকের কোদাগু এলাকার এক কফি ক্ষেতে দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি এমনভাবে পুড়ে গিয়েছিল, তা শনাক্ত করা যায়নি। এরপর ওই এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। নজরে পড়ে একটি লাল রঙের গাড়ি। পরে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি রমেশ নামের একটি ব্যবসায়ীর। দিন কয়েক আগেই রমেশের স্ত্রী, স্বামীর নিখোঁজের অভিযোগ থানায় জানিয়েছিল। এরপরই রমেশের স্ত্রী নীহারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
পুলিশি জেরায় নীহারিকা খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়। সে জানায়, ছোটবেলা থেকেই তার মানসিক সমস্যা ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরি করত। তখন প্রথম বিয়ে হয় তার। সন্তান হওয়ার বছর খানেকের মধ্যেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কাজের সূত্রে হরিয়ানায় চলে আসে। সেখানে আর্থিক তছরুপে জড়িয়ে পড়ে এবং জেলে যায়। জেলে অঙ্কুরের সঙ্গে আলাপ হয় তার। তার আগে নিখিলের সঙ্গে নীহারিকার সম্পর্ক ছিল। জেল থেকে বেরিয়েই রমেশের সঙ্গে বিয়ে হয়। রমেশ ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। বিয়ের পর বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে সে।
বিয়ের পরেও অঙ্কুরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নীহারিকার। দিন কয়েক আগেই রমেশের থেকে আট কোটি টাকা চেয়েছিল। কিন্তু রমেশ এত টাকা একবারে দিতে অস্বীকার করেন। এরপর তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে নীহারিকা। নিখিল ও অঙ্কুরের সহায়তায় হায়দরাবাদের উপ্পলে রমেশকে খুন করে নীহারিকা। এরপর দেহটি কর্ণাটকের কোদাগুর কফি ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়। কত টাকা রমেশের থেকে তারা নিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত জারি রয়েছে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন