সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৬ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
আগের দিন আবাহনী ড্র করায় মুচকি হেসেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। শেখ রাসেলের বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামার আগে ২ পয়েন্টে এগিয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান রানার্সআপরা। রাসেলকে হারিয়ে ছোট আবাহনী ৫ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে গেলো বড় আবাহনীর চেয়ে। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় চট্টগ্রাম আবাহনী ৩-১ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেলকে।
এটি চট্টগ্রাম আবাহনী টানা চতর্থ জয়। ১২ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে শীর্ষে উঠলো চট্টলার জায়ান্টরা। চার ম্যাচে দ্বিতীয় হারে শিরোপা পুনরুদ্ধারের দৌড়ে পিছিয়ে পড়লো শেখ রাসেল। এক জয়, এক ড্রয়ে চার ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে আরেক ধাপ নেমে গেলো ব্লুজরা।
ম্যাচ শেষে স্কোর চট্টগ্রাম আবাহনী ৩ : ১ শেখ রাসেল; কিন্তু ম্যাচের চার গোলই করেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়রা। রাসেলের নামের পাশের গোলটি যে তাদেরই আত্মঘাতি! দিনভর কখনো ভারী কখনো হালকা বৃষ্টিতে মাঠের এমন অবস্থা হয়েছিল যে, বল নড়ছিল না সহজে। গড়ানো শট কয়েক হাত গিয়ে আটকে গেছে আঠালো কাদা-মাটিতে। এমন মাঠে আর যাই হোক ভালো ফুটবল হয় না।
চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য ম্যাচটি ছিল বড় এক বাধা। আগের ম্যাচে শেখ জামালের কাছে হারা রাসেলের জন্য ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ; কিন্তু নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আফিজ ওলাদিপোর জোড়া আর ফর্মে থাকা তৌহিদুল আলম সবুজের গোল চট্টগ্রাম আবাহনীকে এনে দেয় মূল্যবান ৩ পয়েন্ট।
১২ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে জাহিদের কর্নারে বল-মাথায় সংযোগ ঘটিয়ে চট্টগ্রামের আকাশি-হলুদদের এগিয়ে দেন আফিজ। পিছিয়ে পড়ে বিরতিতে যাওয়া রাসেলের জন্য সুযোগ করে দিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর আরেক নাইজেরিয়ান এলিসন। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল হেডে গোলরক্ষককে দিয়েছিলেন এলিসন; কিন্তু গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা অযথা ড্রাইভ দিতে গিয়ে সর্বনাশ ডেকে আনেন- বল গড়িয়ে গড়িয়ে চলে যায় তাদেরই জালে।
নিজেদের ভুলে গোল হজমের পর ডাগআউটে সাইফুল বারী টিটুর মাথায় যে হাত পড়েছিল তা সরাতে বেশি সময় নেননি তার শিষ্যরা। ৭৩ মিনিটে ডান দিক থেকে মনসুর আমিনের ক্রসে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন নাইজেরিয়ান আফিজ। নাইজেরিয়ান এ ফরোয়ার্ড প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি বাফুফের প্যাড ও সাধারণ সম্পাদকের সই জাল করায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকার কারণে। দ্বিতীয় ম্যাচে গোল না পেলেও পরের দুই ম্যাচে করলেন ৩ গোল।
প্রথম তিন ম্যাচেই গোল করেছেন তৌহিদুল আলম সবুজ। করলেন চতুর্থ ম্যাচেও। চট্টগ্রাম আবাহনীর চার জয়েই আছে সবুজের গোল। চার গোল নিয়ে এখন তিনি গোলদাতার শীর্ষে এককভাবে।