বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম টিপু একজন সৌখিন খামারি। তার খামারে সাড়ে তিন বছর ধরে একটি উন্নত জাতের ষাঁড় লালন-পালন করে আসছেন। শারীরিক আকার আকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের কারনে টিপু তার ওই শখের ষাঁড় নাম রেখেছেন পালোয়ান। ইদ-উল আযহা উপলক্ষে শখের পালোয়ান বিক্রি করতে চান টিপু। বৃহৎ আকৃতির ওই গাভীটির দাম হেঁকেছেন তিনি চৌদ্দ লাখ টাকা।
জানা যায়, হায়াতপুর গ্রামের খামারি আসাদুল ইসলামের স্বপ্ন উন্নত জাতের গরু পালন করে লাভবান হওয়ার। তিনি দেশের বিভিন্ন খামারিদের সফলতার গল্প ও ইউটিউবে উন্নত জাতের গরু পালনের ভিডিও দেখে উৎসাহি হয়ে নিজেই আরম্ভ করেন। বাড়ির ভেতরে শয়ন কক্ষের পাশেই ছোট আকারের জায়গা তৈরি করে সেখানে গরু রাখেন। নিয়মিত নানা খাদ্য সরবরাহ করেন। নিজের সন্তানের মতই ওই গরুকে আদর যত্ন করে বড় করেন। দিনে দিনে বেড়ে ওঠে তার শখের পালোয়ান। বাড়ির ভেতরে বিশাল আকৃতির গরু রয়েছে এ খবর তার প্রতিবেশীরাই জানতো না। দীর্ঘ এক বছর পর ওই গরুটি বাড়ির বাইরে বের করে আনলে উৎসুক প্রতিবেশীদের ভীড় জমে যায়। গরুকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয় নারী-পুরুষ উৎসাহী হয়ে দেখতে আসছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, সন্তান কে যেভাবে মানুষ আদর-যত্ন করে লালন-পালন করে ঠিক সেভাবেই প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে টিপু তার গরুকে দেখাশোনা করছেন। এখানকার অনেকেই জানে না তার বাড়ির ভেতর এতো বড় গরু রয়েছে। সম্প্রতি বাড়ির বাইরে বের করার কারণে অনেকেই তা দেখার জন্য ছুটে আসছে।
গরু পালনকারী আসাদুল ইসলাম টিপু জানান, তার ওই শখের পালোয়ানের পেছনে প্রতি মাসে পনের থেকে ষোল হাজার টাকার খাবারসহ অন্যান্য খরচ করতে হয়।