টিসিবি’র ৪৩ লাখ ফ্যামিলি কার্ড বাতিল: ১ জানুয়ারি থেকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড

আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২৪, ৭:২৮ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


অনিয়মের অভিযোগে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল হয়ে গেছে। হাতে লেখা কার্ডগুলোকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডে রূপান্তর করতে গিয়ে এনআইডি যাচাইকালে এসব কার্ড বাদ পড়ে যায়। তবে নানা জটিলতায় সব কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা সম্ভব হয়নি। তাই এখনও আগের হাতের লেখা কার্ডেই টিসিবির পণ্য বিতরণ করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেই ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র।

শনিবার (৯ নভেম্বর) তেঁজগাওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একটি পরিবার থেকে যেন একজনের বেশি না পায়, এ জন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হচ্ছে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন ডিলার নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে ডিলার নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।’

হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, ‘পণ্য স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে বিঘ্ন হচ্ছে না। তবে মনিটরিংটা ঠিকমতো হচ্ছে না। ভোক্তার কাছে সঠিকভাবে যেতে যে সহযোগিতা দরকার, সেটাতে কমতি রয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় প্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় না থাকায় পণ্য সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে ডিসি অফিস ও সিটি করপোরেশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

হুমায়ূন কবির জানান, এক কোটি হাতে লেখা কার্ড যখন এনআইডি’র সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে- তখন দেখা গেছে, একই এনআইডি দিয়ে ঢাকায় একবার কার্ড নিয়েছে, আবার নিজের গ্রামের বাড়িতে হয়তো আরেকটা কার্ড করেছে। যার ফলে যখন আমরা এনআআইডি দিয়ে যাচাই করতে গেলাম তখন ৪৩ লাখ কার্ড বাদ পড়ে গেছে।
তিনি জানান, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি পণ্য পাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রনিধিরা না থাকায় ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য ঠিক মতো পৌছাচ্ছে কিনা তাও সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে না।

হুমায়ূন কবির বলেন, ‘ফ্যামিলি কার্ডের এসব সমস্যা দূর করার জন্য একটি পরিবার যাতে একটি কার্ডের বেশি না পায়, সেজন্য আমরা স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখনও পর্যন্ত ৫৭ লাখ স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড হয়েছে। বাকি কার্ডগুলো করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন এবং সিটি করপোরেশনকে চার দফা চিঠি দিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসনে যে রদবদল হচ্ছে— সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে এই তথ্যগুলো না পাওয়ার কারণে বাকি কার্ডগুলো আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি।’

তিনি জানান, রমজানে টিসিবির ৫টি পণ্য-তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, ডাল বিক্রি করা হবে। আর সিটি করপোরেশনের বাইরে খেজুর বাদে ৪টি পণ্য বিক্রি হবে। কার্ডের বাইরেও ট্রাকে করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ৭০টি পয়েন্টে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ পণ্য কিনতে পারবে। প্রতি ট্রাকে ৩৫০ জনের উপযোগী পণ্য দেওয়া হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন

Exit mobile version