মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
আগামী মঙ্গলবার নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় শুরু হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। এর আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। আর চার ম্যাচেই বাংলাদেশ পরাজয় সঙ্গী করেছে।
২০১০ সালে হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে প্রথমবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৮ রানে। তখন সেটিই ছিল টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান।
৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে একটি মেডেনসহ ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেন কিউই স্পিনার ড্যানিয়েল ভেটোরি। পরে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ২৭ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে স্বাগতিকরা ম্যাচ জেতে ১০ উইকেটে।
২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। পাল্লেকেলেতে এবার আগে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ম্যাককালাম। মাত্র ৫১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ম্যাককালাম খেলেন ৫৮ বলে ১১ চার ৭ ছক্কায় ১২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে ৩ উইকেটে তোলে ১৯১ রান। ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক।
লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৩২ রানের বেশি করতে পারেনি। ৫৯ রানে হারা ম্যাচে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে। দুই কিউই পেসার টিম সাউদি ও কাইল মিলস নেন ৩টি করে উইকেট।
২০১৩ সালে প্রথমবার ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। মিরপুরে এবারও আগে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড পায় বড় সংগ্রহ। কলিন মানরোর ৩৯ বলে অপরাজিত ৭৩ ও অ্যান্তন ডেভচিচের ৩১ বলে ৫৯ রানের সুবাদে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ২০৪ রান। ৩১ রানে ২ উইকেট নেন পেসার আল-আমিন হোসেন।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯ রানের মধ্যেই ওপরের দিকের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় পরে যদিও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ পর্যন্ত ১৫ রানে হেরে যায় মুশফিকের দল। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে বাংলাদেশ তোলে ১৮৯ রান। অধিনায়ক মুশফিক করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৪, নাসির ২৮ ও সোহাগ গাজী করেন ২৪ রান। ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন সাউদি।
বাংলাদেশ সবশেষ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে এবার অবশ্য নিউজিল্যান্ডকে ১৪৫ রানেই বেঁধে ফেলে বাংলাদেশ। তাতে বড় অবদান বাঁহাতি পেসার মুস্তফিজুর রহমানের। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ২২ রানে নেন ৫ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। বাংলাদেশের বোলিং যতটা ভালো হয়ছিল, ব্যাটিং হয় ততটায় বাজে! ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৭০ রানে। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে করা ৭৮ রান পেছনে ফেলে নতুন সর্বনিম্ন রানের লজ্জা সঙ্গী করে বাংলাদেশ। ইনিংসে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল তিনজন! রাইজিংবিডি