টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছে বিশ্ব: জাতিসংঘ

আপডেট: জুন ১৮, ২০২৪, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:


পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও ক্ষুধা মোকাবেলার মতো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছে বিশ্ব। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে যে, ২০১৫ সালে সম্মত হওয়া ওইসব টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই পথ হারিয়েছে বিশ্ব। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মোকাবেলা।

তহবিল ঘাটতি, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এমনটি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের বার্ষিক টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদনে ব্যাপক-পরিসরের ১৭টি ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (এসডিজি) বাস্তবায়নে ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের কর্ম সম্পাদনের র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

এসব লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আছে- শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করাসহ, স্বচ্ছ জ্বালানি সরবরাহ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার মতো বিষয়গুলোও।
এতে দেখা গেছে, ১৭টি লক্ষ্যের কোনোটিই ২০৩০ সালের মধ্যে পূরণ হওয়ার পথে নেই। বেশিরভাগ লক্ষ্যমাত্রাই হয় সীমিত আকারে বাস্তবায়ন হয়েছে, নয়ত অবস্থা আগের চেয়ে আরও শোচনীয় হয়েছে।

ফলে প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশকে তহবিলের দীর্ঘদিনের ঘাটতি মোকাবেলা করা এবং জাতিসংঘ ব্যবস্থা পুনর্গঠনেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক’ এর (এসডিএসএন) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রতিবেদনের প্রধান লেখক গিলিয়াম লাফরচুন বলেন, “এই প্রতিবেদনে যা দেখা যাচ্ছে তাতে প্রতীয়মান হয় যে, মহামারী হওয়ার আগেও অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর ছিল।”

“মহামারী দেখা দেয়ার পর সামরিক সংঘাতসহ অন্যান্য সংকট শুরু হলে এই অগ্রগতি স্থবির হয়।”
প্রতিবেদনে ক্ষুধা মোকাবেলা, টেকসই শহর সৃষ্টি এবং ভূমি ও পানিতে জীববৈচিত্র্য রক্ষার লক্ষ্যমাত্রাকে দুর্বলতার বিশেষ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলোও বাস্তবায়ন হতে দেখছে না বিশ্ব। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও ডেনমার্ক এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
চিনও গড়ের চেয়ে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করেছে, তবে বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলো আরও পিছিয়ে পড়েছে।

এসডিএসএন-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লাফরচুন বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর আন্তর্জাতিক অর্থায়নে আরও বেশি প্রবেশাধিকার প্রয়োজন।
তার মতে, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি দেশের স্বল্পমেয়াদী তারল্যের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক কল্যাণকে বিবেচনায় নিতে উৎসাহিত করা উচিত।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা করতে দেশগুলোর আগ্রহের বিষয়টিও মূল্যায়ন করা হয়েছে। সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
লাফরচুন আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ দেশ সহযোগিতার পক্ষে। কিন্তু বেশ কিছু বড় শক্তি আছে যারা খেলার নিয়ম মেনে খেলে না।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা করতে দেশগুলোর আগ্রহের বিষয়টিও মূল্যায়ন করা হয়েছে। সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, “বেশিরভাগ দেশ সহযোগিতা করার পক্ষে। কিন্তু বেশ কিছু বড় শক্তি আছে যারা খেলার নিয়ম মেনে খেলে না।”
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ