রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ট্রাক মালিক সমিতি ও ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালামের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ট্রাক মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজারা অ্যাসোসিয়েশন, বিএডিসি ডিলার অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএডিসি ডিলার অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী জেলার সভাপতি মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মাদের ষড়যন্ত্র এখনও বিদ্যমান। তারই অংশ হিসেবে একজন জনপ্রিয় রাসায়নিক ও ট্রাক পরিবহন ব্যবসায়ী নেতার নিকট হতে মোটা অংকের টাকা না পাওয়ায় এবং তার পদ থেকে সরানোর জন্য পুলিশ প্রসাশনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্ট দোসরদের ষড়যন্ত্রের কারণে আবুল কালামকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আটক করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, বোয়ালিয়া থানা সাবেক ওসি মেহেদী মাসুদ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তদন্তের নামে এজাহার বহির্ভূত ৭৪ জনের নাম সংযুক্ত প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করেন। যা ফ্যাসিস্ট গোলামীর বহিঃপ্রকাশ বলে দাবী করেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, মামলার বাদি ওসামা বিন ইকবাল মিথ্যা প্রাথমিক তথ্য বিবরণী সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে স্ব-প্রণোদিতভাবে আবুল কালামসহ মামলায় সংযুক্ত নেই এই সমস্ত ব্যক্তির নামে অভিযোগ প্রত্যাহার করে রাজশাহী জেলা নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে একটি এফিডেভিট করেন। যার কপি বোয়ালিয়া থানা ও আরএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবরে প্রেরণ করা হয়। তারপরেও আবুল কালামকে গ্রেফতার করা অবশ্যই আইন অবমাননার শামিল। আবুল কালামকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে রাজশাহী অঞ্চলের ট্রাক পরিবহণ ও কৃষিক্ষেত্রে একটি অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চরম ষড়যন্ত্র, যা বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীলতার দিকে ধাবিত করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাদী এফিডেফিট করে দেওয়ার পরেও আবুল কালামকে গ্রেফতার করার বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক হাসান বলেন, এফিডেফিট বিবেচনার বিষয় আদালতের। আমরা এজাহারভুক্ত আসামি পেয়েছি, তাই তাকে গ্রেফতার করেছি। তাকে গ্রেফতারের পেছনে অন্য উদ্দেশ্য নেই।