শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
ডায়বেটিস বা অন্য কোন রোগ থেকে বাঁচতে আলুকে ডায়েট থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে থাকেন প্রায় অনেকেই। কিন্তু মিষ্টি আলুর কথা একেবারেই আলাদা। পাত থেকে আলু বাদ দিলেও, রাঙা আলুকে অবহেলা করা ঠিক নয়।
রাঙা আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এতটাই কম যে, এর থেকে তৈরি হওয়া গ্লুকোজ দ্রুত রক্তে মিশে যেতে পারে। ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও বাড়ে না। তা ছাড়া এতে থাকে বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের মতো দরকারি উপাদান।
এতে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ রয়েছে। শিশুর বেড়ে ওঠা, বুদ্ধির বিকাশে এবং চোখ ভাল রাখতে খুবই কার্যকর এই উপাদান। তাছাড়া রাঙা আলুতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও জিঙ্কের মতো খনিজ। এই উপাদানগুলি শিশুর শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে।
রাঙা আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ধীরে ধীরে হজম হয়। ফলে পেট ভরে তাড়াতাড়ি। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা কমাতে কাজে আসতে পারে রাঙা আলু। ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও কাজে আসে রাঙা আলু।
মিষ্টি আলুতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্থোসায়ানিন, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তে সোডিয়াম কমাতে সাহায্য করে, যা ভালো রক্তচাপ বজায় রাখে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, মিষ্টি আলু খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
শরীরে কোলাজন উৎপাদন করে ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে পারে এই আলু। ভিটামিন সি এর সঙ্গে মিষ্টি আলু আয়রনেরও ভালো উৎস। কলার চাইতেও বেশি পটাসিয়াম পাওয়া যায় মিষ্টি আলু থেকে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা খেতে পারেন এই আলু। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
তবে মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট থাকে, যা ক্যালসিয়াম-অক্সালেট কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিটা-ক্যারোটিন থাকে, তাই অতিরিক্ত খেলে হাইপারভিটামিনোসিস এ হতে পারে। তাই একটু পরিমিত খাওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন