মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেক্স :
ঐতিহাসিকদের হাতে চলে এল অসাধারণ এক আবিষ্কার। এটি প্রাচীন যুগের মানুষের বলেই মনে করা হচ্ছে। কলম্বিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া এই কঙ্কাল যে মানুষের আগের পুরুষের সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এখানেই অন্য একটি বিষয় চিন্তায় ফেলেছে বিজ্ঞানীদের।
মনে করা হচ্ছে এই কঙ্কালটি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার বছরের পুরনো। তবে এর ডিএনএ থেকে উঠে এসেছে অন্য ধরণের একটি তথ্য। যেটি সামনে আসার পর থেকেই গবেষকরা বিরাট চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। তারা মনে করছেন যেভাবে এই কঙ্কালের ডিএনএ দেখা গিয়েছে তা থেকে অন্য একটি রহস্য সামনে এসেছে।
গবেষকরা মনে করছেন এই কঙ্কালগুলির ডিএনএ থেকে দেখা গিয়েছে সেগুলি বর্তমান যুগের মানুষের কাছ থেকে একেবারে আলাদা। ফলে এটাই বিরাট চিন্তায় ফেলেছে গবেষকদের। তারা মনে করছেন যেভাবে ডিএনএ নিয়ে নতুন এই তথ্য সামনে এসেছে তা থেকে বোঝা যায় প্রাচীন যুগের এই মানুষের ডিএনএ একেবারে আলাদা ছিল। তাদের কোষের বিভাজন বর্তমান মানুষের থেকে একেবালে আলাদা ছিল।
কলম্বিয়াতে বসবাস করা এই মানুষগুলি দেখতে হয়তো মানুষের মতোই ছিল। তবে তাদের ডিএনএ একেবারে আলাদা ছিল। তারা নিজেদের মতো বাঁচতে জানত। একসঙ্গে অনেকগুলি কঙ্কাল মেলার ফলে মনে করা হয়েছে এরা দলবদ্ধভাবে বাস করত এবং সেভাবেই এরা মারা গিয়েছিল।
এক পিএইচডি পড়ুয়া এবিষয়ে গবেষণা করে মনে করছেন যে এই সময় মানুষের বুদ্ধি অনেক কম ছিল। ফলে সেখান থেকে তারা আধুনিক মানুষের তুলনায় অনেক বেশি পিছিয়ে ছিল। তাই তাদের ডিএনএ গঠন একেবারে অন্যরকম ছিল। যদিও তার কথা মানতে নারাজ অনেকেই।
তাদের দাবি মানুষের ডিএনএ এত দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে না। ফলে প্রাচীন যুগের মানুষের ডিএনএ-তে এমন কিছু ছিল যা বর্তমান যুগের মানুষের ডিএনএ-তে একেবারে নেই। তবে এরা কীভাবে দ্রুত হারিয়ে গেল তার কোনও হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি।
তথ্যসূত্র: াাজকাল অনলাইন