শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক বলেছেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব দিয়ে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। এ লক্ষ্যে সারাদেশের স্কুল-কলেজে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। আগামি ২০১৮ সালের মধ্যে আরো দশ হাজার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।’
গতকাল রোববার সকাল ৯টায় রাজশাহীর সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন তিনি। এর আয়োজন করে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাটোর জেলা আওয়ালী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস এমপি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মুহা. হবিবুর রহমানসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ রাজশাহী শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের প্রধানরা।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় দেশে আইসিটি বিষয়ে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে এই ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। কারণ এই শিশুরা তথ্য ও প্রযক্তি বিষয়ে দক্ষ হয়ে একদিন দেশ ও বিদেশে সফলতা অর্জন করবে। কারণ আধুনিক প্রযুক্তিতে তরুণদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে না পারলে কখনোই বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অর্জন করা সম্ভব হবে না।
প্রতিমন্ত্রী পলক মতবিনিময়সভায় উপজেলার প্রত্যেক শিক্ষকদের কাছ থেকে ডিজিটাল ল্যাবের ভালো দিক, সমস্যা, প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বিষয়ে মতামত নেন। এবং মতামত শেষে কীভাবে ডিজিটাল ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টের ব্যবহার করে শিশুদের মননজগতকে কীভাবে আরো বিস্তৃত করা যায়, সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রায় ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। অথচ এই প্রাইমারি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সর্বপ্রথম করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দল-মত নির্বিশেষে কাজ করা উচিত।
সাবেক ভিসি আব্দুস সোবহান বলেন, আপনারা সবাই সত্যকে উপলব্ধি করবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে তারা কখনো এই সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের কোনো বাড়ি নেই। ‘সুধাসদন’ নামে যে বাড়ি রয়েছে তা-ও তার স্বামীর। তার স্বামী সেটা হাউজ লোন নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন। ধানমন্ডিতে যে বাড়ি বঙ্গবন্ধু করেছিলেন তা-ও হাউজ লোন নিয়ে। ফলে আপনারা সত্যকে উপলব্ধি করবেন।