ঢাকা থেকে আনা হলো পুরুষ ঘড়িয়াল

আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০১৭, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


ঢাকা থেকে নিয়ে আসা পুরুষ ঘড়িয়ালটি অবমুক্ত করা হচ্ছে-সোনার দেশ

শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রিয় উদ্যোন ও চিড়িয়াখানায় পুরুষ ঘড়িয়াল নিয়ে আসা হয়েছে। গতকাল রোববার ঘড়িয়ালটি চিড়িয়াখানার পুকুরে অবমুক্ত করা হয়। শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রিয় উদ্যোন ও চিড়িয়াখানায় দুইটি নারী ঘড়িয়াল ছিলো। অপরদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানায় ৪টি পুরুষ ঘড়িয়াল ছিলো। প্রজননের বিষয়টি চিন্তা করে শুক্রবার ঢাকা চিড়িয়াখানায় একটি স্ত্রী ঘড়িয়াল পাঠানো হয়। পাশাপাশি ঢাকা থেকে একটি পুরুষ ঘড়িয়াল রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু ও শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রিয় উদ্যোন ও চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ফারহাদসহ অন্যরা।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ফারহাদ জানান, ঘড়িয়াল বাংলাদেশে একটি বিপন্ন প্রাণী। দিনে দিনে এদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে। বর্তমান সময়ে দেশে ঘড়িয়াল দেখা ভার।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী চিড়িয়াখানায় দুইটি নারী ঘড়িয়াল ছিলো। যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। অপরদিকে ঢাকা চিড়িয়াখানায় যে কয়টি ঘড়িয়াল আছে সবগুলো পুরুষ। সে কারণে প্রজনন করানো সম্ভব হচ্ছিলো না।
দুই চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ বিপন্ন প্রাণীটির প্রজনন বৃদ্ধি করতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে বংশ বিস্তার করতে পারবে প্রাণীটি।
প্রাণী চিকিৎসক ডা. ফারহাদ বলেন, সাধারণত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ঘড়িয়ালদের প্রজনন মৌসুম। একবারে প্রজননে ৩৫ থেকে ৪০টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে তারা। সাধারণত মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তারা ডিম পাড়ে। ডিম পড়ার পরে তারা গর্ত খুঁড়ে ডিম ঢেকে রাখে। সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হতে সময় নেয় ৭০ থেকে ৯০ দিন।
রাজশাহী চিড়িয়াখানার যে পুকুরে ঘড়িয়াল থাকে সেখানে ডিম পাড়ার পরে গর্ত করে রাখার মতো কোন ব্যবস্থা নেই। সে কারণে বর্ষা শেষ হয়ে গেলে পদ্মা নদী থেকে মোটা বালি পুকুরটির একাংশে ফেলা হবে। যেখানে ঘড়িয়াল ডিম পাড়তে পারবে।
ডা. ফরহাদ আরো জানান, ঘড়িয়াল বিনিময়ের পাশাপাশি ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ৪টি রঙিন ময়ূর নিয়ে আসা হয়েছে। এদের দুইটি পুরুষ ও দুইটি নারী। ময়ূরগুলোর এখানে প্রজনন করে বংশ বিস্তার করানো হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ