তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে ও জবাবদিহিতার লক্ষে গণশুনানি

আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ২:৫৩ অপরাহ্ণ


সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ইউএসএআইডি’র আর্থিক এবং দ্য কার্টার সেন্টারের কারিগরি সহযোগিতায় এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডির আয়োজনে ‘বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প’Ñ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে ডা. আবু বকর উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, জনঅংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং নারীদের তথ্যে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সমাজসেবা অধিদপ্তর তানোর উপজেলা এবং চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের সাথে নাগরিকদের অংশগ্রহণে গণশুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গণশুনানিতে স্থানীয় সরকার বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দায়িত্ব, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা-বেষ্টনী কর্মসূচির বিভিন্ন দিক, নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভাকে অগ্রাধিকার দেয়া, আদিবাসী, দলিত ও প্রান্তিক নারীর জীবনমান উন্নয়নে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে করণীয় সহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান। প্রকল্প সমন্বয়কারী সুব্রত কুমার পালের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসেন খান, ডা. আবু বকর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোখলেসুর রহমান, তথ্য সেবা কর্মী মো. আনারুল ইসলাম।

গণশুনানিকালে তাৎক্ষণিক চারজন নাগরিকের সমস্যার সমাধান দেন সমাজসেবা কর্মকর্তা। একই সাথে ইউপি চেয়ারম্যান একজন কে তাৎক্ষণিক সমাধান দেন। সভাপতির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ জনগণের প্রতিষ্ঠান, এটিকে কার্যকর ও শক্তিশালী করতে হলে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়, তাই আজকের গণশুনানির মাধ্যমে আমরা এটি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছি। এটি প্রতিনিয়ত চলবে বলেও জানান। অনুষ্ঠানে ৮০জন কমিউনিিটর নারী অংশ নেন।

গণশুনানিতে চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে, একই সাথে কিছু বিষয়ের তাৎক্ষনিক সমাধান দেন। কিছু বিষয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। নারী গ্রুপের সদস্য অলংকর সরেন, মারসিলা মুর্মু, আঞ্জয়ারা বেগম, স্বর্ণলতা কিসকু,রিনা দাস, সিনা বেগম, েেমারশেদা বিবি, শিউলি খাতুন, সিমমতী মার্ডি, রানী মুর্মুসহ অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধান নেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ