মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বাগমারা প্রতিনিধি:রাজশাহীর বাগমারায় তরমুজের ক্রেতা কমে যাওয়ায় মৌসূমী ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। অধিক লাভের আশা করলেও দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। দুই সপ্তাহ আগেও যে তরমুজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন ২০ টাকা কেজি দরে ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ফলে তরমুজ বিক্রেতারা লোকসানের মুখে পড়েছেন। পচনশীল হওয়ায় এসব তরমুজ তারা রাখতে পারছে না। দাম না পাওয়ায় বিক্রেতারা এসব তরমুজ খোলা বাজারে টানা রোদের মধ্যেই ফেলে রাখছে। ফলে রোদে থেকে থেকে এসব তরমুজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে তরমুজ ফেলে দিতে হচ্ছে।
সোমবার (১এপ্রিল) উপজেলার তাহেরপুর ও ভবানীগঞ্জ হাট ঘুরে তরমুজের এমন বেহাল অবস্থা লক্ষ করা গেছে। তরমুজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবছর ব্যাপক তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। শুরুতে তরমুজ চাষী ও ব্যবসায়ীরা মিলে সিন্ডিকেট করে মৌসুমী এই ফলটির মূল্য বাড়িয়ে দেয়। ব্যবসায়ীরা তখন তরমুজ পিস দরে কিনে কেজি দরে বিক্রি শুরু করে। ফলে তরমুজের দাম বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে। এ সময় দেশ ব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করে তরমুজের দাম।
অনেকে তরমুজ বর্জনের ঘোষনা দেন। এই ঘোষণা ক্রমেই বিস্তার লাভ করতে থাকে। দেশব্যাপি ভোক্তাদের মাঝে নাড়া দিতে থাকে। আবার রোজার মাস হওয়ায় মানুষের খাদ্য গ্রহণের পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া তরমুজ বিদেশে রপ্তানির কোনো সুযোগ না থাকায় এবং উৎপাদন ব্যাপক হওয়ায় তরমুজের বাজার একেবারেই পড়ে গেছে।
ভবানীগঞ্জ হাটের তরমুজ বিক্রেতা জয়নাল জানান, এক ট্রাক ভর্তি (এক হাজারের উপর) তরমুজ এনেছি। তিন দিনে একশো তরমুজও বিক্রি হয়নি। তিনি তরমুজ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। জয়নালের মত একই হাটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের অবস্থা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকুল থাকায় অনেক এলাকাতেই তরমুজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। ফলে সস্তায় তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে হাতের নাগালে।