শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সোহরায় উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে সাঁওতাল জাতিসত্তার সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও চর্চায় আগ্রহী করে তোলার জন্য বৃহত্তর সামাজিক উৎসব সোহরায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মিজানুর রহমান।
তানোর মুন্ডুমালার কচুয়া কাজিপাড়ায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সিফাত, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সদস্য আকবারুল হাসান মিল্লাত, প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজ সহকারী অধ্যাপক যোগেন্দ্রনাথ সরেন, মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মারান্ডী, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সদস্য সুশেন কুমার স্যামদুয়ার, সুবোধ চন্দ্র মাহাতো ও মুন্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুনিল কুমার মাঝি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা বেনজামিন টুডু। রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির প্রশিক্ষক মানুয়েল সরেনের সঞ্চালনায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, সংস্কৃতির কোন গন্ডি নেই। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি রক্ষার্থে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করে গেছেন। এখন তাঁর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশেল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অপসংস্কৃতি রুখতে এবং দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষা করতে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ একটি বিশুদ্ধধরার বহু সংস্কৃতির দেশ। এই সংস্কৃতি রক্ষা করতে যুবসমাজকে এগিযে আশার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, সংস্কৃতি রক্ষায় গবেষণা করতে হবে। সেইসাথে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান বলেন, অস্বচ্ছল শিল্পিদের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হতে অর্থ অনুদান পাওয়া যায়। এই সহযোগিতা পেতে জেলা প্রশাসক বরাবরে যথাযথভাবে আবেদন করার পরামর্শ দেন তিনি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সমবায় করার পরামর্শ দিয়ে সন্তানদের শিক্ষাদানের আহ্বান জানান। সেইসাথে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার পাঠাগার স্থাপনের আহ্বান জানান তিনি। বক্তব্যের মধ্যে মধ্যে মোট আটটি সাঁওতালী দল নৃত্য পরিবেশ করে। বক্তব্য শেষে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দ।