শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
তানোর প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে ‘বরেন্দ্র বহূমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ বিএমডিএ’র গভীর নলকুপের এক অপারেটরের বিরুদ্ধে। অপারেটরের অপসারণ ও স্কীমের কৃষকের মতামতের ভিত্তিত্বে অপারেটর নিয়োগের দাবিতে কৃষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি গত বুধবার স্কীমের কৃষকরা অপারেটরের বিরুদ্ধে ডাকযোগে স্থানীয় সাংসদ, বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
কিন্তু অভিযোগ করার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত ওই অপারেটরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কৃষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এদিকে আমণ মৌসুমে এ গভীর নলকুপে অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোরের পাঁচন্দর ইউপির ‘কচুয়া মৌজায় ১৬১০ নম্বর দাগে অবস্থিত বিএমডিএ’র গভীর নলকুপের স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামত উপেক্ষা করে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া শরিফুলের বাধার কারণে কৃষকরা সেচ দিতে পারে নি । আবার বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘায় ১৪০০ টাকা করে সেচ চার্জ আদায় করেছে শফিকুল। এসব ছাড়াও কৃষকদের জিম্মি করে সেচ চার্জ আদায়ের নামে চাঁদাবাজির পাশপাশি বিদ্যুতের ‘কাটআউট’ পুড়ে গেলে কৃষকদের মাথাপিছু ১০০ টাকা ও আউট প্লেটের প্যাচ কেটে গেলে মাথা পিছু ২০০ টাকা এবং ট্রান্সফরমার বিকল হলে মাথা পিছু ৫০০ টাকা করে আদায় করে।
এদিকে শরিফুল সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন ও স্কিমের নিরিহ কৃষকদের জিম্মি করে সেচ চার্জ আদায়ের নামে রীতিমতো চাঁদাবাজি করছে। আর তার চাহিদামত অর্থ দিতে অসম্মতি জানালে জমিতে সেচ দেয়া বন্ধ এমনকি জমির ফসল হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও প্রায় একমাস আগে গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার ও মটর পুড়ে গেলেও তা এখানো মেরমত করা হয়নি। ফলে স্কীমের আমন খেত নিয়ে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে কৃষক আবদুল মান্নান জানান, চলতি মৌসুমে আলু চাষে প্রতি বিঘায় ৩৫০ থেকে ২৫০০ টাকা করে সেচ চার্জ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সেচ কার্ড নিয়েও শরিফুল নিজেই কাটআউটের তার কেটে দিয়ে কৃষকের কাছে থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করেন বলেও কৃষকরা অভিযোগ করেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর শরিফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষকদের অভিযোগ সত্য নয় আসলে কৃষকরা সেচের টাকা না দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
এব্যাপারে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, কৃষকদের কাছে থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।