বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
তানোর পৌর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে সড়ক ও জনপথের তানোর-কাশিম বাজার প্রায় ২৭০০ মিটার সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বৃষ্টির মধ্যেই যেনোতেনো ও দায়সারাভাবে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে কার্যাদেশ ক্রয় করে কাজটি করছেন রাজশাহী শহরের রজব আলী।কিন্তু তারা শিডিউল উপেক্ষা করে নিম্নমাণের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসি । এতে রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে রাস্তা নির্মাণের পূর্বেই রাস্তার যাবতীয় তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি। এলাকার মানুষের কাছে তথ্য গোপন করে রাস্তার নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসি।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান বলেন, রোববার (১৫ জুন) দিনভর ভারি ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়। কিন্তু বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তার কার্পেটিং কাজ করা হয়। এসময় সেখানে সড়ক ও জনপথের (সওজ) কোনো কর্মকর্তার দেখা মেলেনি।
উপজেলা এলজিইডির এক কর্মকর্তা জানান, রাস্তার বেড ঠিকমতো মেরামত না করে বৃষ্টির মধ্যে এভাবে কার্পেটিং করার কোনো মানে হয় না। এছাড়াও বৃষ্টির মধ্যে কার্পেটিং করা হয়েছে, রোলার করার পর পরই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে ও কাদাসহ পানি জমেছে। এই রাস্তা নির্মাণের পরপরই নষ্ট হবে- এনিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নাই। এদিকে (সওজ)’র এসও পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই কাজ বন্ধ করা হয়েছে। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। ছিটেফোঁটা বৃষ্টির মধ্যেও কার্পেটিং কাজ করা যাবে না সত্য, তবে কাজ শুরুর পর বৃষ্টি হলে গরম পাথর তো ফেলা দেয়া যায় না, বৃষ্টির মধ্যেই কিছুটা কার্পেটিং করে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, সড়ক উপ-বিভাগ-১ আব্দুল মান্নাফ আকন্দ’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিজে কাজের সাইড পরিদর্শন করবো যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ মিলে বা রাস্তা নষ্ট হলে আবার করিয়ে নেয়া হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার বলেন, তথ্য অফিসে আছে, তাদের কাছে কোনো তথ্য নাই।