বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
লুৎফর রহমান, তানোর
রাজশাহীর তানোরে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মসুর খেতে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন মসুর চাষিরা। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌর এলাকা জুড়ে সর্বত্রই এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কোন কোন মাঠে এই পচনের হার অনেক বেশি বলে জানা গেছে।
এদিকে পচন রোগ মোকাবেলা করতে উপজেলা কৃষি অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছেন। এই উপজেলা কৃষি নির্ভরশীল এলাকা। রবিশষ্যের মধ্যে অন্যতম ফসল হচ্ছে মুসুর। তাই কৃষকরা এবার বেশি বেশি মসুর চাষ করেছেন। কৃষকদের লাভজনক ফসল হচ্ছে এখন মসুর।
উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় সাড়ে ১৩শ হেক্টর জমিতে মসুর চাষ করা হয়েছে। বা¤পার ফলনের স্বপ্ন দেখছিল কৃষকরা। কিন্তু সম্প্রতি প্রতিকূল অবহাওয়ার কারণে মসুর খেতে পচন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু কিছু নামধারী কোম্পানির নি¤œমানের কীটনাশক বাজার ছেয়ে গেছে। যেগুলো ব্যাবহারে কৃষকরা কোনো ফল পাচ্ছে না।
উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির কচুয়া গ্রামের কৃষক আবদুস সাত্তার জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে মসুর চাষ করেছেন। তিনি মসুর খেতে পচন রোগ দেখা দিলে কৃষি অফিসের পরার্মশে এমিস্টার টপ সহ ৩ প্রকারের কীটনাশক ব্যাবহার করায় পচন কিছুটা দূর হয়েছে।
এনিয়ে তালন্দ উপরপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল সোনার বলেন, ৫ বিঘা জমিতে চাষ মসুর করেছি। জমিতে প্রতিনিয়ত যতœ নেয়ার পরেও পচন রোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যাবহার করেও পচন দূর করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, পচন প্রতিরোধের জন্য কৃষকদের সচেতন করতে আমরা পুরো উপজেলায় মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন জায়গায় উঠান বৈঠক করে কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারে পরার্মশ দেয়া হচ্ছে।