তানোরে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ, ভালো ফলনের সম্ভাবনা

আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ১১:১৬ অপরাহ্ণ

তানোর প্রতিনিধি:


কৃষি ভান্ডার নামে খ্যাত রাজশাহীর তানোর। আর সেই তানোরে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চাষ করা হয়েছে রবি মৌসুমে সরিষা। উপজেলার যেদিকে তাকাই, চোখ যাই যতদূর সেদিকেই শুধু সরিষা ফুলের হলুদের সমারহ। মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করে মধু সংগ্রহ করতে উড়তে দেখা যাচ্ছে মৌমাছির দল।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, এবার আলু চাষের পাশাপাশি সরিষা চাষও হয়েছে ব্যাপক। অথচ তানোরে প্রায় বিলুপ্তির পথে বসেছিলো সরিষা চাষ। কিন্তু হঠাৎ করে এবার তানোর উপজেলা জুড়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে হয়েছে সরিষা চাষ। যা এর আগে কোন দিন দেখা যায়নি এমন সরিষা চাষ করা।

বেশকিছু সরিষা চাষির সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে প্রায় ৬ থেকে ৭ মন করে সরিষার ফলন হয়ে থাকে। এতে কৃষকের খরচ হচ্ছে ৩ থেকে ৪হাজার টাকা করে। আর ফলন পাচ্ছেন ৬ থেকে ৭ মন।

চিমনা গ্রামের সরিষা চাষি মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান, বেলাল উদ্দিন, রবিউল ইসলাম,ও মাজাহারুল ইসলাম জানান, তারা এবার সরিষা চাষ করেছেন প্রতিজন ৪ থেকে ৫ বিঘা জমিতে। তুলনা মূলক খরচও হয়েছে অনেক কম। সরিষা চাষে সেচ লাগেনা। আর সার লাগে পরিমানে অনেক কম। কম খরচে আবাদ করে কৃষক লাভবান হয় সরিষা চাষ। বর্তমানে বাজারে বারি ১৪ ও বারি ১৭ সরিষা বীজের চাহিদা তুলনামূলক ভাবে বেশি। এর ফলনও হয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর ৬ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা । যা এর আগের বছরের চেয়ে দিগুন। গত বছরে পরো উপজেলা জুড়ে সরিষা চাষাবাদ হয়েছিলো ৩ হাজার ১১০ হেক্টার মতো। কোন দিন এতো পরিমাণে সরিষা চাষ করা হয়নি এ উপজেলায়, বলে কৃষি অফিস নিশ্চিত করেছেন।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, সরিষা চাষ একটি লাভজনক আবাদ,এ আবাদে কৃষকের একে বারে কম খরচ হয়ে থাকে। অন্য বছরের তুলনায় এবছর ব্যাপক পরিমাণে এ উপজেলায় সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। আশা করা যাচ্ছে সরিষা চাষ করে এবার কৃষক ভালো লাভবান হবেন এবং আগামীতে সরিষা চাষে আরো কৃষক উৎসাহিত হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ