তানোরে সোনালী মুকুলে স্বপ্ন বুঁনছেন লিচু চাষিরা

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

লুৎফর রহমান, তানোর



তানোরে সোনালী-হলুদ মুকুলে ছেঁয়ে গেছে লিচু গাছ। উপজেলার প্রতিটি এলাকার গাছে গাছে মুকুলে ভরে গেছে। কোন কোন লিচু গাছে পাতা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। লিচু চাষিরা লাভের আশা নিয়ে গাছ ও মুকুলের যতেœ ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭০ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না করলেও যে হারে মুকুল দেখা যাচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গতবারের চেয়ে দিগুণ লিচু উৎপাদন হবে বলে ধারাণা করছে কৃষি অফিস।
এবারে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়াগত কারণে পর্যাপ্ত মুকুল আসতে দেরি হলেও এখন প্রতিটি গাছে মুকুল দেখা গেছে। তবে বড় আকারের গাছের মুকুলের চেয়ে ছোট ও মাঝারি গাছে বেশি মুকুল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার লিচু গাছে মুকুল দেখা যাচ্ছে। লিচু মুকুলের মৌ মৌ গন্ধের সুবাসে বাতাস ভরে উঠতে শুরু করেছে। আর তার সঙ্গে দেখা দিয়েছে লিচু চাষিদের চোখে সোনালী স্বপ্ন।
উপজেলার বেলপুকুরিয়া গ্রামের লিচু চাষি আবদুস সালাম জানান, মুকুল বের হতে যে তাপমাত্রা প্রয়োজন বাতাসে সে তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ফলে লিচু গাছে বেশি মুকুল ধরার আশা করছেন লিচু চাষিরা। আবার যদি হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যায় তাহলে মুকুলের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা দেখা দিবে। যার কারণে ফলনও ব্যাহত হতে পারে।
আবার আগাম ফোটা মুকুলের গুটি দেখা মিলবে তড়িৎ। মৌসুমের শুরুতেই তানোরে লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন আসবে বলে ধারণা করছে লিচু চাষিরা। তাইতো লিচু চাষিদের মুখে হাসি ও রঙিন স্বপ্ন বাসা বেঁধেছে। মনে লেগেছে আনন্দের ঢেউ। আর কয়েক দিন পর থেকে বের হওয়া গুটির যতেœ মেতে উঠবে চাষিরা।
এনিয়ে তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা গ্রামের লিচু চাষি আবদুর রহিম জানান, লিচু গাছে মুকুল বের হয়েছে। আর মুকুল আসার আগে থেকেই লিচু বাগানের পরিচর্যা করেছেন তিনিসহ এ অঞ্চলের অনেক লিচু চাষিরা। গাছের গোড়ায় সার পানি সেচ বের হওয়া মুুকুলে কীটনাশক ¯েপ্র, বাগান পরিষ্কারসহ বিভিন্ন পরিচর্যায় এখনো ব্যস্ত রয়েছেন তার মতো অনেকে। এখন আবারো পরাগায়ন নিশ্চিত করতে এবং মুকুল পুড়ে যাওয়া রোধ করতে ওষধ ¯েপ্র করবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, এ উপজেলা খরা প্রবণ এলাকা। অন্য উপজেলার চেয়ে অনেক উচু এলাকা হওয়ায় পানির স্তর অনেক নিচে থাকে। ফলে এ অঞ্চলের মাটি অত্যন্ত কড়া। যার কারণে অন্য এলাকার লিচুর চেয়ে এ উপজেলার লিচুর স্বাদ একটু বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, কৃষকদের লিচু গাছে পরিচর্যা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যে কোন সময় এ্যানথাস জোনিত রোগ হতে পারে। তার জন্য প্রতিটি চাষিকে কার্বোডাজিং গ্রুপের ওষুধ ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ