তারেককে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে : আইনমন্ত্রী

আপডেট: জুলাই ২০, ২০১৭, ১:০৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


চিফ জুডিশিয়অল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ অতিথিরা-সোনার দেশ

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং এখন তিনি ফেরারি। তাকে দেশের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন উদ্বোধনকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য ও প্রযুক্তি সুরক্ষা আইনের ৫৭ ধারা বর্তমান রূপে থাকবে না বলে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ৫৭ ধারার আপরাধগুলো অপরাধই। তবে এ ধারার বর্তমান রূপ থাকবে না। তিনি বলেন, ৫৭ ধারার যে অপরাধ, সেগুলো অপরাধই। সে অপরাধগুলোকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এগুলোকে একেবারে বাদ দেয়া যায় না। তবে এ আইনে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয়, সেটি আমরা সুনিশ্চিত করবো। ৫৭ ধারার এই রূপও থাকবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারপতি অপসারণ ক্ষমতা প্রসঙ্গে সংসদে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে সরকারের সাথে নির্বাহী ও বিচার বিভাগের কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি। কিছু কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকবে এবং দ্বিমতে যদি আলোচনা হয়, সেটা গণতন্ত্রকে আরো সুদৃঢ় করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের সাংসদ আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৫ আসনের সাংসদ আবদুল ওয়াদুদ দারা ও সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আক্তার জাহান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল ইসলাম, রাজশাহী বারের অডিট সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেলাল আহমেদ ও অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান খান রানাসহ রাজশাহীর বিভিন্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল-হক। স্বাগত বক্তব্য দেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। আইনমন্ত্রী নতুন ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। পরে তিনি বেলুন উড়িয়ে ভবনটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ভবনের সামনে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী আদালতে এজলাস সংকট দূর করতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের পাশে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনটি নির্মাণ করা হলো। ভবনটি ১২ তলা হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত তা হয়েছে ৮ তলা। এই ভবনে বিভিন্ন সুবিধাসহ রয়েছে ১০টি এজলাস।