তিনদিনের ছুটি শেষে খুলল ব্যাংক, অফিস ও আদালত

আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


নির্বাহী আদেশে টানা তিন দিনের সাধারণ ছুটির পর সীমিত পরিসরে খুলেছে ব্যাংক, অফিস ও আদালত। বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত খোলা ছিল সরকারি, বেসরকারি এবং সায়ত্ত্বশাসিত অফিস। এছাড়াও ব্যাংক খোলা ছিল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

এদিন সকাল ১০টা থেকে উচ্চ আদালতের কার্যক্রম চলেছে। সেখানে বিভিন্ন মামলার বিচার কাজ চলেছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে অফিস যাওয়ার তাড়া শুরু হয়ে যায়। সকালের দিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের চাপ দেখা গেছে। এদিকে কিছু কিছু বিপনী বিতান ও দোকান-পাটও খুলেছে। নগরীর রাণীবাজার ও নিউমার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানকার দোকানপাট খুলেছে। তবে লোক সমাগম নেই বললেই চলে। বিশেষ করে ব্রান্ডের পোশাকের দোকানগুলো খুলতে দেখা গেছে। এসব শো-রুমের কর্মীরা জানান, কারফিউ শিথিল করায় কয়েক ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এক ব্যান্ড শপের কর্মী জানান, গত কয়েকদিন ধরে তো শোরুম খোলার পরিস্থিতি ছিল না। আজ বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকায় অনেকটা রিস্ক নিয়ে খুলেছি।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ৫টার পর আবার বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। তারা বলেন, একদিকে কম সময়ের জন্য দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে কিন্তু কোনো ক্রেতা নেই। সাধারণত ক্রেতারা বিকালেই কেনাকাটা করতে এসে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে বিকেল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

এদিকে ব্যাংকগুলো গিয়ে দেখা যায়, লেনদের বেশ ভালোই চাপ। সোনালী ব্যাংকে কথা হয় আরিফ নামের একজনের সাথে। তিনি একটি কোম্পানীর ডিস্ট্রিবিউটর। তিনি বলেন, গত সপ্তাহ ও এই সপ্তাহে মিলে বেশ ভালোই টাকা জমে ছিল। টাকাগুলো পাঠিয়ে দিতে ব্যাংকে এসেছিলাম। এত টাকা রাখাও অনিরাপদ। তাই ডিমান্ড ড্রাফট করে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি।

এদিকে অফিস খুললেও পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। দুপুর বাড়ার সাথে সাথে কাজের চাপও বেড়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়িত্বশাষিত অফিস ঘুরে এমন দেখা গেছে। এদিকে রাবি ও রুয়েট খুলে অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে বন্ধ থাকছে পাঠাদান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ