বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
নিষেধাজ্ঞা তোলার পর নির্মাণ শ্রমিক, বনায়ন ও উৎপাদন খাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে মালয়েশিয়া।
মঙ্গলবার ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির সঙ্গে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ত আনাক জায়েমের বৈঠকে এই বিষয়ে মতৈক্য হয় বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “বৈঠকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ সম্পর্কিত বিষয়ে সার্বিক আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে তারা জানান, খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ শ্রমিক, প্লান্টেশন ও ম্যানুফ্যাকচার খাতে মালয়েশিয়ায় কর্মী গমন শুরু হবে।”
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া হবে।”
মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো আগের রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকার মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। সরকার নির্ধারিত ব্যয়ে মালয়েশিয়া সরকার ও বাংলাদেশ সরকার কর্মী গমনাগমনের বিষয়ে মতৈক্য হয়।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠাতে জিটুজি প্লাস চুক্তিতে সই করে বাংলাদেশ। মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ত উভয় দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। তবে চুক্তির ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মালয়েশিয়া এই মুহূর্তে তারা আর কোনো কর্মী না নেয়ার ঘোষণা দিলে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া ঝুলে যায়।
সাত মাস পর গত সেপ্টেম্বরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নির্মাণ (কনস্ট্রাকশন), বনায়ন (প্ল্যান্টেশন) ও উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচারিং) খাতে কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার।
বৈঠকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, “মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে দালালচক্র নির্মূল করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
“গুটিকয়েক রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ না দিয়ে পূর্বে প্রেরিত ৭৪৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি হতে অভিজ্ঞ ও স্বনামধন্য রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ নিশ্চিত করা হবে।” মালয়েশিয়ার ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন্ত্রী রিচার্ড রায়ত।- বিডিনিউজ