তিন বছরের শিশুকে চুরি করে লাখ টাকায় বিক্রি

আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০১৭, ১২:০২ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


চট্টগ্রাম নগরী থেকে চুরি যাওয়ার ১৭ দিন পর তিন বছর বয়সী এক শিশুকে রাউজান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাকে এক লাখ টাকায় বেচে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উদ্ধার শিশুটির মা নগরীর চান্দগাঁও থানার ফরিদার পাড়া এলাকায় থাকেন।
শুক্রবার রাউজানের সুলতানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতে অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নোয়াখালীর সুধারাম এলাকার আশেকুর রহমান খোকা (৩৫), দোলন শীল (৩২), রেখা শীল (২৫), নিলী শীল (৩২) ও সিরাজ (৫০) নামে এক গাড়ি চালক।
এদের মধ্যে দোলন ও রেখা শীলের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি হলেও খোকার বাড়ি নোয়াখালীর সুধারাম এলাকায়। নিলী শীল থাকেন রাউজানে, আর গাড়িচালক সিরাজের বাড়ি হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদ বটতলী এলাকায়। শিশু হাবিবের মায়ের বন্ধু খোকা এই চুরিতে মূল ভূমিকা পালন করে বলে জানান চান্দগাঁওয়ের এসআই কাদের।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়েক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর মাস ছয়েক আগে খোকার সঙ্গে পরিচয় হয় ওই শিশুর মায়ের।
বিয়ের আশ্বাস দিয়ে খোকা শিশুটির মায়ের সঙ্গে ছিল জানিয়ে পুলিশ সদস্য কাদের বলেন, এরপর খোকাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ২৭ ডিসেম্বর ওই বাসা ছেড়ে চলে যান খোকা। সেদিন থেকে শিশুটিও নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি শিশুটির মায়ের করা একটি সাধারণ ডায়েরির পর তদন্তে নামে পুলিশ।
ফোন কললিস্টের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার নোয়াখালী থেকে খোকাকে গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে এসআই কাদের বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজ ড্রাইভারের মাধ্যমে শিশুটিকে এক লাখ টাকায় বেচে দেওয়ার কথা স্বীকার করে খোকা।
“গাড়িচালক সিরাজকে গ্রেপ্তারের পর সে জানায়, ফটিকছড়ির দোলন শীল-রেখা শীল দম্পতি শিশুটিকে কিনেছে। তাদের গ্রেপ্তারের পর দোলন জানায়, সে তার বৌদি নিলী শীলের জন্য শিশুটিকে কিনেছিল।” এরপর পুলিশ রাউজানের সুলতানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিলী শীলের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছেন জানিয়ে এসআই কাদের বলেন, উদ্ধার শিশুটিকে আদালতের নির্দেশে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলেও জানান এই পুলিশ সদস্য।- বিডিনিউজ