নিজস্ব প্রতিবেদক
তীব্র গরমের কারণে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। কিন্তু সে অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় বেড়ে গেছে লোডশেডিং। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং করতে হচ্ছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানীকে। মধ্যরাতে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। ওই সময় প্রায় ৪০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
নেসকো থেকে জানা গেছে, সোমবার রাজশাহী নগরীতে দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২০ মেগাওয়াট। আর রাতে ছিল ১৩০ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদা মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরে লোডশেডিং হচ্ছে।একই অবস্থা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রামাঞ্চলে দিনের বেলায় ৫০-৬০ মেগাওয়াট আর রাতের বেলায় ৬৫ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন পড়ে। পল্লী বিদ্যুতে ঘাটতি আছে ৫ থেকে ১০ মেগাওয়াট পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়, যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে।
নগরীর হড়গ্রাম এলাকার ইদ্রিস আলী বলেন, এখন আশি^ন মাস। বাইরে প্রচুর রোদ গরম। এর মধ্যে অসহ্যকর লোডশেডিং মাসখানেক থেকেই চলছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় সাতবার বিদ্যুত আসা যাওয়া করেছে। শুধু দিনে না রাতেও তিন-চারবার করে লোডশেডিং হচ্ছে।
রাজশাহীতে কয়েক দিন ধরে চলছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। এই তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহীতে গ্রাম ও শহরে লোডশেডিং বেড়েছে। এলাকাভেদে টানা এক ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।
নগরের বুধপাড়া এলাকার রহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে রাত ১২টার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। গভীর রাতেও বিদ্যুত চলে যাচ্ছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা গরমে হাঁসফাঁস করছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসে কল দেওয়া হলেও কেউ ধরেনি। তবে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে রাজশাহীতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় এক সপ্তাহ থেকে এরকম তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
নেসকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, এখন রাজশাহীতে খুব গরম পড়েছে। আমরা যেটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি তা দিয়ে পুরো চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। এ কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। বৃষ্টি হলে বা তাপমাত্রা কমে গেলে লোডশেডিং কমে আসবে।#