তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে : চারঘাটে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৮

আপডেট: জুন ১৩, ২০২৫, ৯:৪৭ অপরাহ্ণ

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:


দোকানে আম ওজন দেয়ার সময় আম খাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর চারঘাটে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এদের ৩ জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার চককৃষ্মপুর ও জাহাঙ্গীরাবাদ নামক দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে দুটি গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত আটটার দিকে ভায়ালক্ষিপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের জনৈক ছিয়ার উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির আম নিমপাড়া ইউনিয়নের চককৃষ্মপুর মোড়ে জনৈক তমজিদের দোকানে ওজন দেয়। ওজন দেয়ার সময় আম খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছিয়ারের সঙ্গে তমজিদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি বেধে যায়। পরে সংবাদ পেয়ে ছিয়ারের ভাতিজা জুয়েলের নেতৃত্বে প্রায় ১০/১৫ জনের একটি দল জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রাম থেকে দেশীয় অস্ত্র হাতে চককৃষ্মপুরে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। শুরু হয় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। এতে দুই গ্রামের ৮জন আহত হয়। আহতরা হলেন, চককৃষ্টপুর গ্রামের মামুন আলী, রাব্বি, তমজিদ, মুনশাদ আলী এবং জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের মহির উদ্দিন, কাউছার আলী,জুয়েল আলী ও শুকুর আলী আহত হয়। আহতদের মধ্যে চককৃষ্মপুর গ্রামের মামুন ও রাব্বি এবং জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের মহির উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদের ৩জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে দুটি গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুটি গ্রামের মাধ্যখানে একটি ব্রিজ থাকায় দুটি গ্রামের লোকজন কেউ ব্রিজ পার হতে পারছে না।

শুক্রবার (১৩ জুন) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, দুটি গ্রামে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় দুটি গ্রামের লোকজন।
চককৃষ্মপুর গ্রামের স্থানীয় মাসুদ রানা বলেন, তুচ্ছ ঘটনা ঘটলেই জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের লোকজন অতর্কিত হামলা কওে থাকে। একাধিকবার শালিশ বৈঠক বসলেও তারা কোন কর্ণপাত করে না।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের সাব্বির ও ইমন বলেন, আমাদের গ্রামে হিন্দুদের বসবাস বেশি হবার কারণে চক কৃষ্টপুর গ্রামের লোকজন কথা কাটাকাটি হলেই মারপিটে জড়িয়ে যায়।
নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে একজন মেম্বার ও গ্রাম পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যাতে করে দুটি গ্রামে আর কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যাতে আর না ঘটে এ জন্য পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ