মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলের প্রাণকেন্দ্রে একটি স্টেডিয়ামের কাছে জোড়া বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে, এদের মধ্যে ৩০ জন পুলিশ কর্মকর্তা।
রোববার তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছে। এ হামলার জন্য কুর্দি বিদ্রোহীদের সন্দেহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু বলেন, “গত রাতের নিষ্ঠুর হামলায় আমাদের দেশের ৩৮ জন সন্তান নিহত হয়েছেন বলে সর্বশেষ পাওয়া সংবাদে জানা গেছে।” নিহতদের সাতজন বেসামরিক ও অপর একজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এক মিনিটেরও কম সময়ের ব্যবধানে বিস্ফোরণ দুটি ঘটে।
বিবিসি জানিয়েছে, দুটি বিস্ফোরণের মধ্েয একটি গাড়ি বোমা ও অন্যটি আত্মঘাতী বোমা হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, এই হামলার লক্ষ্য ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বেসিকতাস স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ শেষে দর্শকরা চলে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ওই বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় গুলির শব্দ পাওয়ার কথাও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন। সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ দশজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কোনো পক্ষ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে চলতি বছর কুর্দি বিদ্রোহী ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) তুরস্কে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের বোমা হামলা চালিয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান শনিবারের ঘটনাকে ‘নিরাপত্তা বাহিনী ও জনগণের’ ওপর ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বেসিকতাস ওবুরসাসপোরের মধ্েয ফুটবল ম্যাচের পরপর এই হামলা চালানোর অর্থ হল, যত বেশি সম্ভব মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল হামলাকারীদের।- বিডিনিউজ