সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। ছবি: রয়টার্স
সোনার দেশ ডেস্ক :
সিরিয়া সীমান্তের কাছে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আটগুণ বেশি হতে পারে। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক সতর্কবার্তায় এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত উভয় দেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৭২ জনে। তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান ইউনুস সেজের বলেছেন, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তুরস্কে নিহতের সংখ্যা অন্তত ২ হাজার ৯২১ জন।
আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে সেজের আরও বলেছেন, ভূমিকম্পে মোট ১৫ হাজার ৮৩৪ জন আহত হয়েছেন। পরে হতাহতের হালনাগাদ সংখ্যা আবারও জানানো হবে।
সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫১ জন এবং আহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩১ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি ও দুর্যোগের ভয়াবহতা আমাদের উদ্ধারকারী টিমগুলোর কাজ কঠিন করে দিয়েছে। আবহাওয়ার কারণে আমাদের হেলিকপ্টারগুলো উড়তে পারছে না।
সোমবার ভোরে ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২৪ ঘণ্টা পরও নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। ডবিøউএইচও সতর্ক করে বলেছে, নিহতের সংখ্যা কোটি ছাড়াতে পারে।
জাতিসংঘ সংস্থাটির ইউরোপের সিনিয়র ইমার্জেন্সি কর্মকর্তা ক্যাথেরিন স্মলউড বলেছেন, ভূমিকম্পে সব সময় একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যায়। দুর্ভাগ্যবশত প্রাথমিক তথ্যে হতাহতের যে সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে আগামী কয়েক সপ্তাহে তা কয়েকগুণ বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, তুষারপাতের কারণে অনেক মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে। এতে ঝুঁকি আরও বাড়বে।
এর আগে মার্কিন ভূতাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) সতর্ক করে বলেছিল, ভূমিকম্পে প্রাণহানি ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইউএসজিএস বলেছিল, নিহতের সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১০ হাজারে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে ৪৭ শতাংশ। আর ১০০ থেকে ১ হাজারে ২৭ শতাংশ। ১০ থেকে ১ লাখে নিহত পৌঁছানার শঙ্কা রয়েছে ২০ শতাংশ। এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের পূর্বের ইতিহাস, জনসংখ্যা, কম্পন এবং ভবনের অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে এমন ধারণা করেছে মার্কিন ভূতাত্তি¡ক জরিপ সংস্থাটি।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন