তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প: বিশ্ব নেতাদের প্রতিক্রিয়া
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

ধ্বংসস্তূপে চলছে উদ্ধারকাজ
সোনার দেশ ডেস্ক:
শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল তুরস্কে হলেও পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়াতেও বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই দেশেই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিহতদের প্রতি শোক বার্তা পাঠিয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ব নেতারা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তুরস্কে ২৮৪ জন নিহত হয়েছে। আহত ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। অন্যদিকে সিরিয়ায় নিহত বেড়ে ২৩৭ জনে পৌঁছেছে।
- সোমবার ভোরে ভূমিকম্পের আঘাতে লন্ডভন্ড তুরস্কে নিহতদের পরিবারের প্রতি টুইট বার্তায় গভীর শোক জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘এই দুঃসময়ে তুরস্কের পাশে আছি আমরা। দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে দেশটিকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
- ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতিতে মর্মাহত হয়েছেন উল্লেখ করে টুইট বার্তায় একইভাবে শোক জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘তুরস্কের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে ভারত। এই ট্র্যাজেডি মোকাবিলায় সম্ভাব্য সহায়তায় প্রস্তুত আছে দিল্লি।
- ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তানও সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়াকে। একাধিক টুইটে, দুই দেশের জনগণকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।
- নিজের টুইটে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক হারজোগ লিখেন, ইসরায়েল একটি রাষ্ট্র হিসেবে সম্ভাব্য সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে। এই বেদনাদায়ক মুহূর্তে আমাদের হৃদয় শোকাহত পরিবার এবং তুর্কি জনগণের সঙ্গে আছে।
- প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয় তুরস্ককে। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভ্যান বলেন, ‘সিরিয়া ও তুরস্কের ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। আমি তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যেকোনও উপায়ে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবো। তুর্কিয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
উল্লেখ্য, মার্কিন ভূতাত্তিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কয়েক মিনিট পর আবারও একাধিক আফটার শক। উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। এর গভীরতা ভূপৃষ্ঠে থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে। সূত্র: সিএনএন
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন