মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
কর্পোরেট সেক্টরে প্রায়ই শোনা যায় চাকরি থেকে ছাঁটাই। কখনও হয় কাজের প্রেসার বাড়িয়ে, আবার কখনও হয় ভুল ধরে। আবার কখনও স্যালারি কমিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। পন্থা রয়েছে নানাবিধ। প্রতি বছরই প্রায় বিভিন্ন সেক্টর থেকে কর্মী ছাঁটাই হয়। এবার এক নতুন ঘাতক আসছে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের। তার নাম এআই। এর কোপে নিঃশব্দে চাকরি যাবে বহু মানুষের।
এআই প্রযুক্তি এতটাই শক্তিশালী এঁকে দিয়ে যে কোনও কাজ করে ফেলতে সক্ষম কোম্পানিগুলো। ফলে তৈরি হয়ে যাচ্ছে কাজের রিপ্লেসমেন্ট। যেমন অ্যামাজনের কথাই ধরা যাক, আগে ছিল ওয়ার্ক ফ্রম হোম চাকরি। কোভিড এবং পরবর্তী বেশ কিছু সময়ে চলেছিল এই পদ্ধতি।
এরপর তাঁরা নির্দেশ দেয় সপ্তাহে পাঁচদিনই কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করার। অনেকেই তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। কিছু কর্মী কাজ ছেড়েও দিয়েছেন। সেই জায়গা নিয়েছে এআই। শতাংশের হিসেবে দেখলে এআই নিয়েছে ৭৩ শতাংশ কর্মীর জায়গা। বিষয়টা যথেষ্ট চিন্তার এবং উদ্বেগের।
আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন, অর্থনীতিবিদরাও। এক অর্থনীতিবিদ এবং এমআইটি প্রফেসর ড্যারন অ্যাসেমোগ্লুর মতে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে পাঁচ শতাংশ চাকরি এআই দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে চলেছে। সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি বাড়তে পারে। এর ফলে সমস্যায় পড়বেন বহু মানুষ। কাজ হারাতে হবে তাদের।
তবে অন্য একটা পক্ষের বক্তব্য অবশ্য আলাদা। তাদের দাবি, একজন মানুষের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য এআই এখনও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হতে পারেনি। একজন কর্মী যতটা বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করবে এআইয়ের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
গ্যালাপ এ নিয়ে একটা সমীক্ষা করে। তাতে উঠে আসছে, এআই আসার ফলে ব্যস্ততা অনেক কমে গিয়েছে। এটা তরুণ প্রজন্মের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। দশ জনের মধ্যে অন্তত তিনজনের ক্ষেত্রে চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যত সময় যাবে তত কর্পোরেট দুনিয়া এআইয়ের গ্রাসে। তার ফল ভুগবে কর্পোরেট জগতের কর্মীরা।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন