বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দলীয় প্রতীককে ‘কুদরতি পাখা’ বললেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ‘আল্লাহপাক কুদরতি এক পাখা দান করেছেন আমাদেরকে। সকল মার্কা দেখা শেষ, হাতপাখার মার্কা শেষ। সকল আদর্শ দেখেছি, এবার ইসলামী আদর্শ দেখতে চাই।’
‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনা উলামায়ে কেরাম ও তাওহীদি জনতার করণীয়’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। রোববার (৬ জুলাই) রাজশাহী নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই মতবিনিময় সভা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজশাহী জেলা ও মহানগর।
তিনি বলেন, ‘যারা নৌকা নির্বাচন করে, তারা নিজেরা নৌকা চালাতে পারে না। যারা ধানের শীষে নির্বাচন করে, তারা নিজেরা ধান কাটতে পারে না। যারা লাঙল নিয়ে নির্বাচন করে, নিজেরা লাঙল দিতে পারে না। যারা গরুর গাড়ি নিয়ে নির্বাচন করে, নিজেরা গরুর গাড়ি চালায় না। হাতপাখা এমন এক প্রতীক, যে নির্বাচন করে সে ঘুরাতে পারে। পুরুষ, মহিলা, ছোট, বুড়োরাও চালাতে পারে। হাতপাখার প্রয়োজন হিন্দুদের, খ্রিস্টানদের, মুসলমানদের। কেউ তাদের প্রতিক নিয়ে ঘুমায় না। মানুষ হাতপাখা বুকের ওপর নিয়ে ঘুমায়। কারেন্ট ফেইল করে, কিন্তু হাতপাখা ফেইল করে না। তাই হাতপাখার দরকার।’
দেশের রাজনীতিতে দুটি রেখা স্পষ্ট জানিয়ে ফয়জুল করিম বলেন, ‘৯২ পার্সেন্ট মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। যদি আপনি মনে করেন সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত হয়, তাহলে এ দেশে তো মুসলমানের সরকার নির্বাচিত হওয়া উচিত ছিল। অন্য কোন সরকার নির্বাচিত হওয়াটা অলীক ছিল। কিন্তু এখানে উল্টো হয়ে গেছে। এখন যে রাজনীতি চলছে। তা হলো- একটা ইসলামপন্থীদের রাজনীতি, আর ইসলামের বিপরীত রাজনীতি। দুইটা রেখা সৃষ্টি হয়ে গেছে অলরেডি।’
তিনি বলেন, ‘কেউ ইসলাম ঐকমত কায়েম করতে চায়, কেউ অ্যামেরিকান গণতন্ত্রবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কেউ ভারতের পক্ষে, কেউ ভারতের বিপক্ষে। দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে বাংলাদেশ। দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে কী অবস্থা হবে? কারা ভোট পাবে? কথা ক্লিয়ার- যারা সুশাসন কায়েম করতে পারবে তারা ভোট পাবে। যারা সুশাসন কায়েম করতে পারবে না, তারা ভোট পাবে না। ক্লিয়ারকাট কথা।’
আগামীর দেশ হবে ইসলামের দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামীর দেশে ইসলাম ক্ষমতায় যাবে, ইনশাল্লাহ। কোনো চোর, বাটপার, গুন্ডা, চাঁদাবাজ, মাস্তান এবং খুনিদেরকে এ দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় নেবে না। যেখানে জুলুম থাকবে না। অত্যাচার, অবিচার, খুন, লুট, চাঁদা থাকবে না, খুন হবে না, গুম হবে না। মা-বোনেরা রাস্তায় নামবে, ইজ্জতহানি হবে না। বাংলাদেশের এই জনগণ গোলামি চুক্তিতে আবদ্ধ হবে না।’
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শেখ মুহাম্মদ নুরুন নাবী। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদ।#