দলের টানে আওয়ামী পরিবারের মিলনমেলায় নেতাকর্মী-সমর্থকরা

আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০১৭, ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক



রোববার সকাল থেকেই দলের প্রতি ভালোবাসার টানে মিলন মেলায় নগরীর শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় হাজির হয়েছিলেন আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা। উদ্দেশ্য ছিল, একে অপরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করা। নিজেদের মধ্যে খোঁজখবর নেয়া। এরমধ্যে দিয়ে নিজেদের দলের সেতু বন্ধনকে আরো মজবুত করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা কর্মসূচিকে আরো বেগবান ও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলা।
এইজন্য গতকাল শনিবার শহিদ কামারুজ্জামান উদ্যানের পরিবেশ অন্যদিনের চেয়ে আলাদা হয়ে উঠে। সকাল থেকেই উপস্থিত হতে থাকে নগর ও জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা। দিনব্যাপি উদ্যানে মেতে উঠে গান-বাজনা, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একসঙ্গে চলে দুপুরের ভোজ। আর এরমধ্য দিয়েই চলে আওয়ামী পরিবারের মিলন মেলার আড্ডা। দলীয় সাংগঠনিক পরিবেশ-পরিস্থিতির পর্যালোচনা।
দলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, তাদের সামনে বিশাল কর্মযজ্ঞ। দেশকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কর্মযজ্ঞের বৃহৎ পরিকল্পনা করেছেন তা বাস্তবায়নে দরকার নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা। এই ঐক্যকে শক্তিশালী ও মজবুত করতেই নিজেদের ব্যস্ততার মাঝেই মিলনমেলায় উপস্থিত হয়েছেন বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।
এই ঐক্যকে মজবুত করতে সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন, রাজশাহীর পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক অঙ্গণের জন্য আ’লীগের কেন্দ্রীয় নেতা লিটনের ভূমিকাই অগ্রগণ্য। তার কারণেই রাজশাহীতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক নৈরাজ্য নেই, নেই কোনো ধরনের রাজনৈতিক দলাদলি, খুনোখুনি। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের না পুরো রাজশাহীর অভিভাবক হয়ে গেছেন।
এই সপ্তম মিলন মেলায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সিনিয়র সহসভাপতি শাহীন আকতার রেণী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মিলনমেলার আয়োজক আসাদুজ্জামান আসাদ ও যুগ্মসম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল হক মাসুদ, নগর আ’লীগের সাবেক উপদেষ্টা আলতাফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, সাংসদ এনামুল হক, সাংসদ খন্দকার আজিজুল হক আরজু, সাংসদ মোস্তফা বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকর, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, সাধারণ সম্পাদক খালেদ ওয়াশি কেটু, নগর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু, নগর ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মিলন মেলার প্রেস মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক আফম মাহমুদুর রহমান দীপন, নওহাটা পৌর আ’লীগের সভাপতি আবদুল বারী, রাজপাড়া থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু,
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. মকবুল হোসেন খান, আব্দুল মজিদ সরদার, সাংগঠনিক একেএম আসাদুজ্জামান, আলফোর রহমান  প্রমুখ। এছাড়া নগর আওয়ামী লীগ, জেলা ও উপজেলার আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা।
আয়োজনে সূচনা বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী পরিবারের মিলন মেলার আয়োজক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ’আওয়ামী পরিবারের মিলন মেলা-২০১৭’ আহ্বায়ক ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুরু হয়। এরপর বিগত বছরে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সারা দিনব্যাপি দেশাত্মবোধক গান, নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী পরিবারের মিলন মেলার আহ্বায়ক শফিকুজ্জামান শফিকের নামে একটি অঢ়ঢ়ং উদ্বোবধন করা হয়। অঢ়ঢ়ং নাম ঝঐঅঋওছটততঅগঅঘ ঝঐঅঋওছ এবং মুকুল হোসেনের লেখা ‘হৃদয় জুড়ে বাংলাদেশ’ নামক একটি বই উদ্বোধন করা হয়। এই মিলন মেলায় হেপ্টা হেলথ কেয়ার হাসপাতাল, মেডিকেল টিম, ভিশন-২০২১ ফটোগ্যলারিসহ কয়েকটি স্টল ছিল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ